পড়াশোনা নয়। ফোনেই সারাদিন ব্যস্ত মেয়ে। পরীক্ষায় তাই খারাপ ফল। বৃহস্পতিবারই রিঙ্কি ঘোষের বাবাকে ডেকে এই অভিযোগ করেন পিয়ারলেস হাসপাতালের নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেয়ের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে এরপর ফিরে যান বাবা। রাতে রিঙ্কির মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। একুশ বছরে বিএসসি নার্সিং থার্ড ইয়ারের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লেডিস হস্টেলের তিলতলার শৌচাগার থেকে। সহপাঠী ও পরিবারের দাবি, অপমানে আত্মহত্যা করেছেন রিঙ্কি। প্রিন্সিপ্যাল ও ক্লাস টিচারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
advertisement
নিয়মিত মানসিক নির্যাতন। একদিকে পড়াশোনার চাপ। অন্যদিকে কাজের প্রেসার। অসুস্থ হলেও মেলে না ছুটি। তার উপর কথায় কথায় অপমান। হেনস্থা। নার্সিং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের। তাঁদের অভিযোগ, রিঙ্কির খবর বাইরে বেরনো আটকাতে তাঁদের হস্টেলে আটকে রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। এমনকি মারধরও করা হয় তাঁদের। রাত থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রিঙ্কির সহপাঠীরা। যার আঁচ কমেনি সকালেও। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাঘাত না ঘটিয়েই তাঁদের বিক্ষোভ চলছে। দাবি পড়ুয়াদের।
কলেজে ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অধ্যাপক চন্দ্রাণী চক্রবর্তী। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে যায় পুলিশ।
একদিকে কাজ। অন্যদিকে পড়াশোনার চাপ। সঙ্গে অপমান। অভিভাবকদের সামনে হেনস্থা। এত কিছু সহ্য করতে পারেনি একুশ বছরের মেয়েটি। তাই এই চরম পরিণতি। সহপাঠীদের এসব দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।