নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জীতেন্দ্র শ্রীবাস্তব সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা নিশ্চিত হয়েছে শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্র এবং প্রকৃত রূপায়ণের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে প্রথম সাড়ে ছয় মাস কাটতে চলেছে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশ শৌচালয় তৈরি করা যায়নি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৮১৬। তৈরি হয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৯। তাই কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিবের পরমার্শ রাজ্য দ্রুত অভিযানে নামুক। যাতে দ্রুত এই খামতি কমিয়ে ফেলা যায়। কতটা কমল তা নিয়ে চলতি মাসের শেষ থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার নজরদারি শুরু করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন – উত্তর থেকে দক্ষিণ… শহরজুড়ে শীতের আমেজ! দীপাবলিতে আরও নামবে পারদ, সতর্কতা হাওয়া অফিসের
নবান্ন সূত্রে খবর, এই চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সতর্ক কর দিলেন। জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় কর্মসূচি নিয়ে যেন সরকারিভাবে উপযুক্ত প্রচার চালানো হয়। প্রতিটি গ্রামসভা ডেকে এই ধরনের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে। শিবির করে সরাসরি সুবিধাভোগীদের প্রকল্প খরচ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থাৎ ডিবিটি করে তুলে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে যেসব বাড়িতে এখনও শৌচলয় নেই তাদেরও এই কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে।
১৯ নভেম্বর বিশ্ব শৌচালয় দিবস। ওই দিনেই চিহ্নিত সুবিধাভোগীদের হাতে প্রকল্পের ছাড়পত্র দিতে হবে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। সম্প্রতি এই নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যসচিব দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে শুধুমাত্র এ রাজ্যকে এই চিঠি নয়, প্রতিটি রাজ্যকেই কেন্দ্রের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়