রাজ্যের পাঁচটি মেট্রো প্রকল্পের আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে রেলমন্ত্রক। জমি সমস্যা ও জবরদখলকারীদের জন্য এখনও সমস্যায় মেট্রো প্রকল্পের বেশ কিছু অংশ। এই অবস্থায় বাজেটে রাজ্যের মেট্রো প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে মেট্রো প্রকল্প
নোয়াপাড়া-বরাহনগর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো
-- কামারহাটি পুরসভা এলাকায় জবরদখলকারীদের সরানো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা
advertisement
-- যদিও বরাহনগরের কিছু দখলদার উচ্ছেদ সম্ভব হয়েছে
-- প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই প্রকল্পে বিশেষ আগ্রহী
জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো
-- তারাতলার কাছে টাঁকশালের জমি এখনও পাওয়া যায়নি
-- কেন্দ্রের অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মধ্যে জমি নিয়ে দড়ি টানাটানি
-- মোমিনপুরে স্টেশন করা নিয়ে ছাড়পত্র দিলেও তা তৈরি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত
নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো
-- গত রেল বাজেটে সর্বাধিক টাকা বরাদ্দ হয়েছিল এই প্রকল্পে
-- কাজের গতি এগোলেও নিউটাউনের কাছে স্কুল ও আবাসন সরানো নিয়ে জটিলতা
-- চিংড়িহাটার কাছে রুট বদল নিয়েও জটিলতা
বরাহনগর-বারাকপুর মেট্রো
-- বারাকপুর পর্যন্ত বিটি রোডের নীচে টালার জলের পাইপ
-- রয়েছে গ্যাস, টেলিফোন ও বিদ্যুতের লাইন
-- ফলে কাজ শুরুর অনুমতি মেলেনি
নোয়াপাড়া-বারাসত ভায়া বিমানবন্দর
-- বিমানবন্দরের পর বারাসত পর্যন্ত কাজ হওয়া নিয়ে সংশয়
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, প্রকল্পের কাজের জন্য যাবতীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যদিও রেলমন্ত্রকের দাবি, রেলের কোষাগারের যা হাল, তাতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা মেট্রো প্রকল্পগুলি নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে বাজেটে বরাদ্দ কমার ইঙ্গিতও মিলছে। যদিও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী রেল। ২০১৮ সালের জুনে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চলবে। ইতিমধ্যেই রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার। ফলে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করা নিয়েও সংশয় থেকে যাচ্ছে।