TRENDING:

একাধিক আসনে ধরাশায়ী তৃণমূল, প্রশ্নের মুখে জেলা নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: তাঁরা ভোটে দলের মুখ ছিলেন না। কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর দায়-দায়িত্ব ছিল তাঁদের ঘাড়েই। দিনের শেষে বিজেপির কাছে জমি হারিয়ে, প্রশ্নের মুখে তৃণমূলের একডজন জেলা নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
advertisement

কোচবিহার ছিল তাঁর কাছে সম্মানের লড়াই। কারণ প্রতিপক্ষ তৃণমূলেরই প্রাক্তনী। যে বয়স এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাই রাস্তায় নেমে ভোট করিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে হেরে সম্মানের লড়াইয়েও হারলেন রবীন্দ্রনাথ।

একদিকে তিনি আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের বিধায়কও। তাই তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর মূল দায়িত্ব ছিল সৌরভ চক্রবর্তীর ঘাড়ে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী জন বার্লার কাছে ধরাশায়ী হয়ে, দলের মান রাখতে ব্যর্থ সৌরভ চক্রবর্তী।

advertisement

ভোটের অনেক অগে থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল। ইভিএমে তার প্রতিফলন আটকানোই চ্যালেঞ্জ ছিল জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের কাছে। কিন্তু ভোটের ফলে স্পষ্ট, সে কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হারের পিছনে উঠে আসছে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্বই।

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের একই ছবি দক্ষিণ দিনাজপুরেও। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের আপত্তি উড়িয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য বালুরঘাটে প্রার্থী করা হয়েছিল নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষকে। ভোটের ফলে অর্পিতার হারে তাই প্রশ্ন উঠে গেল বিপ্লব মিত্রের ভূমিকা নিয়ে।

advertisement

পাহাড়ে গুরুংয়ের প্রভাব ঠেকাতে, তাঁকে জিটিএ চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে সমর্থন দিয়েছিলেন দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনেও। দিনের শেষে সবেতেই হার বিনয় তামাংয়ের। লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতেও ব্যর্থ। নিজেও দার্জিলিং বিধানসভায় জিততে ব্যর্থ।

গতবছরের নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলায় কার্যত জেলা পরিষদই হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। তাই গড় ধরে রাখার চাপ ছিল জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতর। কিন্তু ভোটে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়ে প্রশ্নের মুখে শান্তিরামের ভূমিকা।

advertisement

গত লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর আসন থেকে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়। মেদিনীপুরের সাতটির মধ্যে ছ'টি বিধানসভা আসনেই ফুটেছিল ঘাসফুল। পাচবছর পেরিয়ে লোকসভা ভোটে সেই ঘাসফুলই পদ্মে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত লোকসভা ভোটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল আসানসোল লোকসভা আসনটি। সেই দ্বন্দ্ব মেরামতি করে, দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব ছিল আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং মন্ত্রী মলয় ঘটকের ঘাড়ে। মুনমুন সেনকে জেতানোর প্রশ্নে কার্যত মেয়র পদ বাজি রেখেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে হারের পর, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও মলয় ঘটকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।

advertisement

কোথাও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ। কোথাও গোষ্ঠীকোন্দল। কোথাও আবার বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ ঠেকাতে না পারার ব্যর্থতা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

তৃণমূলের ফলাফল কাঁটাছেঁড়া করতে বসে, এই কারণগুলির দিকেই আঙুল তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞতা। এরফলেই উন্নয়ন সত্ত্বেও সব মানুষের পূর্ণ সমর্থন পেল না ঘাসফুল শিবির। বাংলার উর্বর মাটিতে ফুটল পদ্মফুল।

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
একাধিক আসনে ধরাশায়ী তৃণমূল, প্রশ্নের মুখে জেলা নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ