এনআইএ টিম সাদ্দাম ও সইয়দের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে এসটিএফের থেকে। এসটিএফের দাবী, ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়েদের প্ল্যান ছিল ২৬ জানুয়ারি আগে নাশকতার। এসটিএফ সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যের দুই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্যক্তিকে টার্গেট করেছিল। তাঁদের উপর হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরী করেছিল। আর সেকারণে অস্ত্র জোগাড় করছিলো এরাজ্য থেকে। আর সেকারণে এসটিএফের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এনআইএ। কারণ এসটিএফের পর এনআইএ ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।
advertisement
এনআইএ তাদের জেরা করতে চায়। ভিন রাজ্যে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির উপর হামলার জন্য এরাজ্য থেকে অস্ত্র সংগ্রহ জন্য কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সাদ্দাম এবং সৈয়দ? ফোনের কল লিস্ট দেখছে এসটিএফ। সাদ্দাম ও সৈয়দের মোবাইল ল্যাপটপ ফরেন্সিকে পাঠানো হবে দাবি এসটিএফের। আইএস সংগঠনের হয়ে প্রচার করত সাদ্দাম, ফলে এদের মোবাইল ল্যাপটপ ঘেঁটে এদেরকে কে নিয়োগ করেছিল সেই আইএস মাথারও হদিশ পেতে চাইছে এসটিএফ। এ রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্য হিসাবে শিক্ষিত যুবকদের সাদ্দাম নিয়োগ করত তার তালিকা খোঁজার চেষ্টা চলছে।
কত জনকে নিয়োগ? কোন কোন জেলা থেকে নিয়োগ? তার লিস্ট এসটিএফের কাছে।আইএস জঙ্গি সংগঠনে যোগদানের আগে ধৃতরা নেট ঘেঁটে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে রীতিমতো স্টাডি করেছে দাবি এসটিএফের। তবে এসটিএফের এখন লক্ষ্য যে সাদ্দামকে কে নিয়োগ করেছিল? এদের হ্যান্ডেলার কে? আইএস জঙ্গি সংগঠনের জাল কত দূর বিস্তারিত তা জানতে এসটিএফ মুখোমুখি জেরা করছে ধৃতদের। এ বার লালবাজারে এনআইএ কলকাতা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর রিপন স্ট্রিটে যান। এসটিএফ আধিকারিকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে। সব মিলে বলা যায় এবার এসটিএফের পর এনআইএ তোড়জোড় শুরু করেছে আইএস জঙ্গি সঙ্গে যুক্ত ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দকে জেরা করার জন্য।
ARPITA HAZRA