রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে যতবারই দিল্লি গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, যতবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, ততবারই সেটিং-এর অভিযোগে সরব হয়েছেন বাম-কংগ্রেসের নেতারা। এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময় একই সুর শোনা গিয়েছে। রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতাদের দাবি, তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বরাবরই দোস্তি ৷ এই সেটিংয়ের জেরেই একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে কার্যত ঠান্ডাঘরে চলে যায় একাধিক তদন্ত। হাত গুটিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই।
advertisement
কিন্তু, গত কয়েকমাসে এর ঠিক উল্টো ছবি। বঙ্গে একাধিক মামলায় ইডি-সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কয়লা পাচার মামলায় একের পর এক আইপিএসকে তলব করেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির এমন তৎপরতা দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, তৃণমূল-বিজেপির সেটিং হলে কীভাবে তৃণমূলের হেভিয়েট নেতাদের গ্রেফতার করছে ইডি-সিবিআই বাম-কংগ্রেসের সেটিং তত্ত্ব কি আর ধোপে টেকে?
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস
বাম-কংগ্রেসের সেটিং তত্ত্ব উড়িয়ে দেয় রাজ্য বিজেপিও। অনেকের মতে, ইডি-সিবিআইয়ের এই তৎপরতা বঙ্গ বিজেপিকে স্বস্তি দেবে।
কারণ, সেটিং-এর তত্ত্ব জোরাল হলে পদ্মের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধাক্কা খেত। তাঁরা প্রশ্ন তুলতে পারতেন, যাদের বিরুদ্ধে লড়াই সেই তৃণমূলের সঙ্গেই যদি বিজেপির শীর্ষ নেতারা সেটিং করে নেন, তা হলে আর ময়দানে নেমে লাভ কী ৷ বঙ্গ বিজেপির নেতারা বারবারই সেটিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেন। বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবার কি তৃণমূলের হেভিওয়েটদের গ্রেফতািরতেও সেই একই বার্তা? প্রশ্ন নানা মহলে।
