অন্যান্য রাজ্যের মহার্ঘ্য ভাতার অঙ্ক তুলনায় বেশি হলেও এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এই অভিযোগে শহিদ মিনারের নীচে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এক ছাতার তলায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা।
advertisement
দিল্লির যন্তরমন্তরে মঞ্চের কয়েকশো আন্দোলনকারী ১০ এবং ১১ এপ্রিল বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্না দেবেন। কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচেও কর্মসূচি চলবে। হাওড়া রাজধানী আর শিয়ালদহ রাজধানী ধরে দিল্লি যাবেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া দিয়ে ২০০ জনের মতো যেতে পারেন। আন্দোলনের মূল নেতা ভাস্কর ঘোষও সম্ভবত হাওড়া দিয়েই যাবেন৷ যাত্রা চলবে আগামিকালও৷ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা।
ডিএ ইস্যু নিয়ে রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, "ডিএ আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সরকারের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা শুরু হওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ জন থাকতে পারেন। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব বা এই স্তরের আধিকারিক আলোচনায় থাকুন।"