সেই হোস্টেলে র্যাগিংয়ের মত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এবার সামনে এল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকখানা রোডে কার্মিক্যাল হল ‘হোস্টেলের ভেতরের তথ্য।
এখানেও পাশ করে যাওয়ার পর বহিরাগতরা হোস্টেলে থেকে কেউ রাজনীতি করছে, কেউ বা অন্য কোথাও চাকরি করছে। এখানেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। হোস্টেলটি মূলত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রাবাস। এখানে শুধুমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আবাসিক হিসেবে থাকার অধিকার পায়। পাস করে যাওয়ার পর এখানে নিয়মমাফিক থাকার কোনও অধিকার নেই প্রাক্তনদের। হোস্টেলের পুরনো বিল্ডিং এবং নতুন বিল্ডিং মিলে মোট ৩২৫ থেকে ৩৩০ জন ছাত্র থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
advertisement
সে জায়গায় দেখা গেল ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রাক্তন এখনও পর্যন্ত ওখানে রয়েছে। ১৮ মার্চ ২০২৩ সালে বর্তমানে পাঠরত ছাত্ররা ওই সমস্ত প্রাক্তনদের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে যারা আবাসিক নয় তাদের হোস্টেলে থাকা এবং প্রভাব বিস্তার করা ও র্যাগিংয়ের মত ঘটনা উল্লেখ করে চিঠি লেখে।তারপর এখনও পর্যন্ত হোস্টেলে ওই প্রাক্তনরা রীতিমতো সদর্পে থাকছে।
জুনিয়র ছাত্রদের অভিযোগ,হোস্টেলে ৩৪ নম্বর রুম রয়েছে। যেখানে প্রাক্তনরা ইন্ট্রো নেওয়ার নাম করে জুনিয়রদের ওপর মানসিক এবং আর্থিক চাপ দেয়। তবে এত কিছুর পরেও বোর্ড অফ রেসিডেন্স সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসার কথা থাকলেও তারা কার্মিক্যাল হলে আসেননি।যে সমস্ত ছাত্ররা অভিযোগ করেছিল, তারা কিন্তু এই মুহূর্তে ওই হোস্টেলের প্রাক্তন তৌসিফ আহমেদ, সফি, সাবির, জসীমউদ্দীন শেখদের ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছে।
এই বিষয়ে হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট অমিত মজুমদারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গেলে, তিনি পরিচয় পেয়েই বলেন আধঘন্টা পরে ফোন করতে। পরে তাকে ফোন করলে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করলে কোন উত্তর মেলেনি।
SHANKU SANTRA