অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা বঙ্গ বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান ১ জুন থেকে টানা তিনমাস ব্যাপী গ্রামে গ্রামে হবে। রাজ্যজুড়ে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এই জনসম্পর্ক অভিযানে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াও একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থাকারও সম্ভাবনা। একদিকে মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে সাফল্যের প্রচার আর অন্যদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ইস্যুই হাতিয়ার বঙ্গ পদ্ম শিবিরের। আগামী তিন মাসে সব বুথে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জনসম্পর্ক অভিযানে এক হাজার সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
advertisement
আরও পড়ুন– বছরে মেলে মাত্র ১০-১২ দিন! এই ফলের ঔষধি গুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
জেলায় জেলায় সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ক্লোজ ডোর বৈঠক থেকে পথে নেমে প্রচার। মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে দেশের সাফল্যের পাশাপাশি বাংলার প্রাপ্তির খতিয়ান তুলে ধরে বিলি করা হবে লিফলেটও। বাংলার গুণীজনদের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা-সহ নানান কর্মসূচি রয়েছে এ রাজ্যের শীর্ষ পদ্ম নেতাদের বলেও জানা গেছে।
তিনমাসের জনসম্পর্ক অভিযানে বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরাও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও খবর বিজেপি সূত্রের। শীঘ্রই বঙ্গ বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযানের সূচি প্রকাশ করা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
বলা বাহুল্য, মূলত জনসংযোগের লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নবজোয়ার জনসংযোগ যাত্রায় এই মুহূর্তে জেলায় জেলায় সফর করছেন। রোড শো থেকে শুরু করে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন অভিষেক। শাসক দলের এই বিশেষ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর তারপর চব্বিশে লোকসভা। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানা ৬০ দিনের নবজোয়ার কর্মসূচির মাঝেই এবার পাল্টা ৯০ দিনের জনসম্পর্ক অভিযানে নেমে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বঙ্গ পদ্ম ব্রিগেড। বঙ্গ বিজেপির মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ তাদের নড়বড়ে সংগঠন। এ রাজ্যের অনেক বুথেই এখনও পর্যন্ত বুথ কমিটি পর্যন্ত তৈরি করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। প্রথমবার বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নেমে কার্যত ডাহা ফেল করে দ্বিতীয় দফায় বুথ সশক্তিকরণ অভিযানেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলেই দলীয় সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার যাত্রা এক প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে।
তাই নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে জানান দিতেই এবার জনসম্পর্ক অভিযানে নামছে বঙ্গ বিজেপি ৷ পঞ্চায়েত ভোটকে সেমিফাইনাল আর লোকসভা ভোটকে ফাইনাল ধরে নিয়ে জনসংযোগকে হাতিয়ার করে নিজেদের রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে তারা নামছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। তবে শেষমেষ ভোটের ময়দানে যুযুধান শাসক-বিরোধী দল রাজনৈতিকভাবে কে লাভবান হয়, তার উত্তর দেবে সময়ই।