বুধবার রাত দুটো তিরিশ মিনিটে পরপর কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে বিলকান্দার ওই কারখানায়। ওই একই বহুতলে কারখানায় ওষুধ, রঙ ও অন্যান্য় দাহ্যবস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনাস্থলে ১৫ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলেও, বিল্ডিংটি পুরনো হওয়ায় ভিতরে ঢুকতেই পারছিলেন না দমকল। ফলে পকেট ফায়ারগুলি নেভানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় ইঞ্জিন বাড়ানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে রোবট নিয়ে জল ছুঁড়ে পকেটগুলিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে দমকল বাহিনী। তারপর ধাপে ধাপে ইঞ্জিন বাড়ানো হয়। কিন্তু কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় সামগ্রিক ভাবে আগুন নেভানো মুশকিল হয়ে যায়।
advertisement
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিল্ডিংটির নানা অংশ ভাঙার জন্য ঘটনাস্থলে জেসিপি নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতি এবং শুক্র দুদিন ধরে বিষয়টি তদারকি করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক দমকল আধিকারিকের কথায়, এই ঘিঞ্জি এলাকায় ফায়ার ফাইটিং ম্যানুয়ালি করা যায় না। তাই মেকানিক্যাল ফায়ার ফাইটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।কিন্তু তাতেও প্রায় ৩৮ ঘণ্টা লেগে গেল। সর্বপোরি খোঁজই পাওয়া গেল না ওই চার ব্য়ক্তির। প্রশ্ন উঠছে লকডাউনের মধ্য়ে কেন কারখানায় ডাকা হল ওই চার ব্যক্তিকে, তাহলে কি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে কাজ চলছিল ওই কারখানায়! আপাতত ওই চার ব্যক্তির দেহ খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর।
