এ বছরের ওয়ার্ল্ড ইমিউনাইজেশন উইক-এর থিম হয়েছে দি বিগ ক্যাচ-আপ। ওই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌরভ কোলে বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারী সময়ে যে লক্ষাধিক শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা ড্যাকসিন নিতে পারেন নি. তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমাদের এবারের এই থিম অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমাদের অবশ্যই অত্যাবশ্যক টিকাকরণ কর্মসূচিকে নিদেনপক্ষে ২০১৯ এর সময়ের মত স্তরে নিয়ে যেতে হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন -
ডা: কোলে আরও বলেন, এই টিকাকরণ হল প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রধান স্তম্ভ এবং এটি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বিশ্ব নির্মাণের জন্য সেরা বিনিয়োগ। আমাদের কাছে ২০টিরও বেশি প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন রয়েছে, যা সমস্ত বয়সের মানুষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।'
আরও দেখুন
হাসপাতালের সিইও প্রদীপ ট্যান্ডন বলেন, "এই প্রথম কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এই ধরণের একটি সচেতনতামূলক প্রচারের সঙ্গে যুক্ত হল। এই সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কর্মসূচি। এ বছরের দি বিস ক্যাচ-আপ অনুযায়ী আমরা মনে করি এই সচেতনতা তৈরি করা এবং যারা টিকা নিতে পারেন নি বা ধারা এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এমত সমস্ত মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ।।
চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়, সেগুলি টিকা বা ভ্যাকসিন প্রতিরোধযোগ্য রোগ হিসেবে পরিচিত। এই ধরণের রোগগুলি এখনও ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যু ঘটানোর জন্য অন্যতম। পোলিও, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, কোভিড-১৯, ইনফলুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ক্যান্সার, হেপাটাইটিস-বি ইত্যাদি রোগসহ বাচ্চাদের ডিপিডি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এই টিকাদান প্রভূত সাহায্য করতে পারে।
Onkar Sarkar
