দু'বছর আগে এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভর্তি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। অ্যাডমিশন টেস্ট নেওয়ার দাবিতে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। শেষ পর্যন্ত ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলাতে যাদবপুরের ছাত্র ভর্তি হয়েছিল কলা বিভাগে। সেই আন্দোলনে রেশ এখনও অবশ্য কাটেনি। যদিও গত বছর অবশ্য সেই ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ অ্যাডমিশন টেস্ট থেকে প্রাপ্ত নম্বরের ৫০% গুরুত্ব এবং বাকি ৫০% এর গুরুত্ব দেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে। কিন্তু এবছরও করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন টেস্টের সামগ্রিক প্রসঙ্গ কার্যত তুলে দিল। যদিও এবছরও সেই ফিফটি ফিফটি ফর্মুলাতে ছাত্র ভর্তি পরিকল্পনা নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন কমিটির সিদ্ধান্ত নিল এবার এডমিশন টেস্ট হবে না ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে।
advertisement
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে কবে থেকে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলিকে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কলেজ অনলাইনে আবেদনপত্র তোলা ও জমা নাম্বার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত ছাত্রভর্তি কিভাবে হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেই সর্বসম্মতভাবে বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের অ্যাডমিশন কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া কিভাবে হবে তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক ছাত্র-ছাত্রী ও ও বিভিন্ন স্তরের অধ্যাপকদের থেকে ভর্তি নিয়ে মতামত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে অ্যাডমিশন টেস্টের বদলে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের নিরিখেই কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তি করা হবে। তবে কিছু কিছু বিষয় ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর এর পাশাপাশি মাধ্যমিকের নম্বর কেও দেখা হবে। অনলাইন এই ছাত্র ভর্তির যাবতীয় পরিকল্পনা বা প্রক্রিয়া করা হবে। অর্থাৎ এবছর কোন ছাত্র-ছাত্রীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে হবে না ভর্তি হবার জন্য। সাধারণত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স নেওয়ার জন্য ভর্তি হতে আসে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু এদিনের অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে কোন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবার জন্য ক্যাম্পাসে আসবে না। এমনকি অনলাইনেই ব্যাংক মারফত টাকা দিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে কবে থেকে কলা বিভাগের অধীনস্থ বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীরা আবেদনপত্র তোলা বা ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশিকা আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়