এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান মুখ্যসচিব। যাতে জল ছাড়ার বিষয়টিতে রাজ্যের নজর অনেক আগে থেকেই থাকে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।
সেই মতো বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের দাবি, জল ছাড়ার কথা সময়মতো জানতে না পরার জন্য এই সমস্যা হয়। জলাধার বা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কথা কিছুটা আগাম সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের জানাতে হবে। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ডিভিসি-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জল ছাড়া নিয়ে।
advertisement
বিশেষত না জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়ে রাজ্যে বন্যা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে। তাই মনে করা হচ্ছে ওই দিনের বৈঠকে আগেভাগেই ডিভিসিকে সতর্ক করে দিতে পারে রাজ্য। তারই সঙ্গে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হলে কীভাবে আগেভাগে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারও আগাম নির্দেশ ওই দিনের বৈঠকে দেওয়া হতে পারে।
জলাধারগুলির যাতে সংস্কার হয় সেই বিষয় নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিকেও আশ্রয়ের শিবির হিসাবে যাতে ব্যবস্থা করে রাখা যায় তার জন্য জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে।
