অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের সওয়াল, “ভোটকে কেন্দ্র করে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি দিনই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। গুলি চলছে। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। ফলে তৃণমূল স্তরে বাহিনী পৌঁছতে পারছে না। তাই অপর্যাপ্ত এই বাহিনী দিয়ে একাধিক দফাতে ভোটগ্রহণ হোক।
advertisement
ভোটে দফা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে আদালতে যাবেন তা আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস দলনেতা। অধীর চৌধুরী বার বারই বলেন, এক দফায় এই রাজ্যে কখনও অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অধীর বলেন, “একদফায় নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। তাই দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সোমবার আদালতে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: গাছ লাগালেই সেলফি! কিন্তু কার সঙ্গে…? রেলের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য!
মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়ে প্রচার পর্যন্ত নিত্যদিন অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এরইমধ্যে, বোমা উদ্ধার যেমন হচ্ছে, সামনে আসছে মৃত্যুর খবরও। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুন হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। ভোটারদের প্রাণহানি আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক দফায় ভোটের আর্জি জানানো হয়েছে।
অধীরের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলা গুলিতে বিরোধী দলের কর্মীরা নিত্যদিন আহত হচ্ছেন। ফলে ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা। দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার শুনানি সম্ভাবনা।