সাগর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৩ জানুয়ারি কার্শিয়াংয়ে শেষ হবে প্রদেশ কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। কিন্তু কেন তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানো হল না?
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সামনেই যুবককে সপাটে চড়! দিদির সুরক্ষা কবচে ফের বিতর্ক, এবার দত্তপুকুরে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির জবাব, 'রাহুল গান্ধি নিজে তৃণমূলকে ভারত জোড়ো যাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল, রাহুল গান্ধি শুধুমাত্র একজন সাংসদ। তাঁর আমন্ত্রণে আমরা কেন যাবো? এর পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজে তৃণমূলকে চিঠি লিখেছিলেন। তাতেও তারা সাড়া দেয়নি। যেখানে রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গের আমন্ত্রণে তৃণমূল সাড়া দেয় না, সেখানে আমি চিঠি লিখলে তারা যোগ দেবে, এই প্রত্য়াশা করা আমার বাতুলতা।'
advertisement
অধীর চৌধুরী আরও দাবি করেন, ইতিমধ্য়েই সীতারাম ইয়েচুরি সহ সিপিএমের অনেক নেতাই রাহুল গান্ধির সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মিলিয়েছেন। সেই কারণেই সিপিএমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমমনোভাবাপন্ন অন্য় দলগুলিকেও ২৩ জানয়ারি ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধীর।
আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত! প্রয়াত পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ
যদিও কংগ্রেসের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে পাল্টা অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস বহু বছর ধরেই সিপিএমের হাতের তামাক খেয়ে আসছে। বাম আমলে অসংখ্য় কংগ্রেস কর্মী সিপিএমের হাতে খুন হয়েছে। এই কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যাঁরা শূন্য় পেয়েছে, তৃণমূল তাঁদের আমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকে না। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ আছে।'
যদিও ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কংগ্রেস এবং বামেদের কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'ওরা পুরনো সঙ্গী। কখনও একসঙ্গে থাকেন, কখনও আলাদা। আবার হয়তো ভোট এলে জোট বাঁধবেন। একসঙ্গে হাঁটলে মানুষের বুঝতে সুবিধে হবে।'