রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ঝালদা পুরসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে সম্প্রতি কংগ্রেস সেখানকার বোর্ড গঠনের পরিস্থিতিতে রয়েছে। এই অবস্থায় ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে তৃণমূল নিজেদের দখলে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ অধীরের। ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট হয়৷ সেই আস্থা ভোটেই শাসক দলের হাতছাড়া হয় এই পুরসভা৷ ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে৷ সেই ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ছিল তৃণমূলের দখলে৷ পাঁচটি ছিল কংগ্রেসের দখলে৷ দু'টি ওয়ার্ড নির্দল কাউন্সিলরদের হাতে ছিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৩০ টাকাতেই জীবন বদল যুবকের, কোটি টাকা জয়! আরও এক বিজেতা দ্বারস্থ পুলিশের
আস্থা ভোটে পাঁচ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দু' জন নির্দল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলরও আস্থা ভোটে অংশ নেননি৷ ফলে ভোটাভুটিতে সাতটি ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস৷ দুই নির্দল কাউন্সিলরই কংগ্রেসকে সমর্থন করেন৷ গত ১৩ অক্টোবর ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধী কাউন্সিলররা৷ সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে৷ সেই মামলার শুনানির পর আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, সচিবকে 'জেলে'র হুঁশিয়ারি বিচারপতির
পুরভোটের পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছিল ঝালদা পুরসভা৷ খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু৷ এর পর উপনির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু৷ কিন্তু নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল৷ যদিও পুজোর পরই অনুন্নয়েনর অভিযোগে তৃণমূলের দিক থেকে সমর্থন তুলে নেন ওই নির্দল কাউন্সিলর৷ এর পরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়৷