সোমবার বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মিঠুন চক্রবর্তীর রাজ্য বিজেপি দফতরে আসার প্রসঙ্গ উঠতেই হেসে ওঠেন প্রদেশ সভাপতি। মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমার ডায়ালগ আউড়ে কটাক্ষ করে বলেন, "মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে, বলতে বলতে একটা পার্টি এখন শ্মশানে- কবরে চলে গেছে। মিঠুনদাকে দিয়ে সিনেমার ডায়ালগ বলিয়ে আবার গ্রাম বাংলার ভোট নিতে চাইছে। কিন্ত, এসব হবে না। "
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল যুবক, এবার বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের!
লক্ষ্য ২০২৪-র লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোট বাংলায়। সেই ভোটের আগে বাংলার রাজনীতিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে আরও একবার সক্রিয় হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। আর তা নিয়েই তীব্র কটাক্ষ অধীরের। পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ার ঘটনার চরম সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর দাবি, কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে যায়নি। বরং ভাতা চাইতে গিয়েছিল মনে হয়। তিনি বলেন, " আমাদের রাজ্যে একাধিক "শ্রী" ভাতা চালু আছে। তার মধ্যেই কোনও একটা চাইতে গিয়েছিল কোনও পাগল। কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে যায় নি, যাবেও না। "
আরও পড়ুন- সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদ্রোহীরাই! মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোটে জয়ী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে!
শুধু কটাক্ষ করেই ক্ষান্ত হননি অধীর, পাশপাশি আক্রমণ করতেও ছাড়েননি বহরমপুরের লোকসভার সংসদ। তিনি বলেন, এত ক্যামেরা। এত পুলিশ। তার মাঝে কেউ তাঁর উপর হামলা চালাতে গেল? বিশ্বাস করতে পারলাম না। কোনও পাগলের কাজ হবে। তাই, নিয়ে এত হইচইয়ের কী আছে! এমন ভাব করা হচ্ছে যেন বিশাল কিছু হয়ে গেলে। তবে, হ্যাঁ পুলিশ তো পুলিশের মত বলবেই। তাদের তো বলতেই হবে। আমি এখনও মনে করি কোনও পাগলের কাজ হবে। মুখ্যমন্ত্রী এত শ্রী ভাতা চালু করেছে যে, তাঁর কোনও একটা চাইতে গেছে হয়তো!'
গত শনিবার রাত একটা নাগাদ এক ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন । সারা রাত বাড়ির মধ্যেই ঘাপটি মেরে বসে থাকেন । সকালবেলা তাঁকে দেখতে পেয়ে হইচই পড়ে যায় । তাকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ।
