এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেকটাউনে ৫ বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কোভিডের পাশাপাশি সে অ্যাডিনোভাইরাসেও আক্রান্ত ছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন চিকিৎসকেরা।
শহর কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ। পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে তো বটেই, হুহু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুদের মধ্যেও। যা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। গত শনিবার আমরি হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শ্বাসকষ্ট-সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৫ জন। আইসিইউ/এইচডিইউতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ২২ জন রোগী। শিশুদের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি থেকে দেওয়া হয়েছে এই পরিসংখ্যান।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
প্রাপ্তবয়স্করা বেশিরভাগই অ্যাডিনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনো ভাইরাস, নিউমোককাস এবং আরএসভি-তে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে মাস্ক পরে থাকতে। বিশেষ করে যাঁদের জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের জনসাধারণের থেকে দূরে থাকা উচিত। আইসোলেশনে রাখা উচিত নিজেকে।
শুধুমাত্র আমরি নয়, শহরের বাকি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম থেকে যে ছবি এদিন উঠে এসেছে, তা বেশ চিন্তাজনক। ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি ৩৪ জন, আইসিইউতে রয়েছেন ৭ জন। মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি ৫৬ জন এবং আইসিইউ ১৭ জন। ৩৩ জন ভর্তি রয়েছেন রুবি হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১১ জন। পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ৩৯ জন। ৯ জন ভর্তি আছেন আইসিইউতে। বেলভিউতে ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন, আইসিইউতে রয়েছেন ৭ জন।
আরও পড়ুন: 'ডিএ দেব না কখনও বলিনি, অর্থনৈতিক সংস্থান হোক, নিশ্চই দেব!' এবার আশ্বাস তৃণমূলনেতার
আপাতত সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে কিংবা লোকালয়ে বের হলে মাস্ক পরে থাকতে বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জ্বর, সর্দি কিংবা কাশির মতো সমস্যা থাকলে এ বিষয়ে আরও বেশি সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকরা।