প্রয়াত অভিনেতা সুখেন দাসের মেয়ে তথা অভিনেত্রী পিয়া সেনগুপ্ত এদিন বলেন, "আজ আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক ও কর্মী হিসেবে। বহুদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। আমার বাবা শ্রী সুখেন দাস তিনি আমাদের সঙ্গে নেই। ছোটবেলায় বাবাকে দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্নেহ করতেন, সম্মান করতেন। সেই সময়ে থেকে তাঁর সমস্ত কর্মযজ্ঞ, তাঁর উন্নয়ন দেখে একজন সৈনিক হিসেবে আমি দলে যোগদান করছি। অঙ্গীকার করছি সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকব এবং তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখার অঙ্গীকার রইল। তার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। নবান্নের আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বসবেন।"
advertisement
এছাড়াও পিয়া সেনগুপ্ত ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনির ঘটনা নিন্দা করে পিয়া বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। তার জন্য আমি প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।"
কৌশানী জানান, তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, "আমার বয়স অল্প। কিন্তু পেশার জন্য আমি অনেকের অনুপ্রেরণা। আমি চাই আমার মতো অনেক তরুণ-তরুণী অনুপ্রাণিত হবে। ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্তরা রয়েছে। পুরো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাঁর মতো হতে চায়। তাঁর কাছে অভিযোগ জানায়। এই একটা মানুষ ২৪ ঘণ্টা মানুষের কল্যাণের কথা ভাবে, বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে।"
কৌশানী জানান দীর্ঘদিন ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসকেই আদর্শ দল মনে করে এসেছেন। তিনি বলছেন, "উন্নতি হতে আমরা দেখেছি। পুরো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এর সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।"
এই সময়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানান, এটাই তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়। এই সময়ে দলের কাণ্ডারী হতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছেন। কৌশানী জানান প্রচুর কাজ করার আছে তাঁর। তাঁর কথায়, "এই দলের হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।"
এরপরেই পিয়া সেনগুপ্ত ও কৌশানীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত, কৌশানী মুখোপাধ্যায় টলিউটে পারব না আমি ছাড়তে তোকে ছবির জন্য জনপ্রিয়। পিয়া সেনগুপ্তের প্রথম ছবি দাদামণি (১৯৮৪)।