বিক্রম কি সত্যিই মত্ত ছিলেন? দুর্ঘটনার আগের দিন কোথায় কোথায় মদ্যপান করেন তিনি? জানতে বিক্রম-সোনিকার চার বন্ধুর গোপন জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রুবি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের। এর জেরে মোড় ঘুড়তে পারে তদন্তে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে সোনিকা ও বিক্রমের চার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিরিন আসফাক, অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পৃথা গুহ, নাজিয়া পারভিন গোপন জবানবন্দি দেন ৷ ঘটনার দিন দুটি পার্টিতেই উপস্থিত ছিলেন এই চার জন ৷ এদের জবানবন্দির উপর নির্ভর বিক্রমের জামিন ভাগ্য ৷ এদের জবানবন্দি দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ ৷ বিক্রমের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে পারে পুলিশ।
advertisement
ম্যারাথন জেরার পরও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়, দুর্ঘটনার দিন মত্ত ছিলেন বিক্রম? এবার তাই বিক্রম-সোনিকার চার বন্ধুর গোপন জবানবন্দিকেই হাতিয়ার করছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর বিক্রম ও সোনিকাকে রুবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সের বয়ান রেকর্ড করা হয়। জানতে চাওয়া হয়,
- বিক্রম ও সেনিকাকে কী অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল
- কোথায় চোট-আঘাত ছিল
- হাসপাতালের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা
গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেল সোনিকা সিং-এর মৃত্যুর পর, বিক্রমের বিরুদ্ধে গাফিলতের অভিযোগে ৩০৪-এর এ ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বন্ধুদের গোপন জবানবন্দি ও চিকিৎসক-নার্সদের বয়ানের পর মোড় ঘুড়তে পারে তদন্তে।
জবানবন্দির চাপ
- অভিনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হতে পারে ৩০৪ অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা
- সেক্ষেত্রে অভিনেতা বিক্রমকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ
এর আগে মঙ্গলবার নিজের বয়ানে বিক্রম-সোনিকার বন্ধু অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছে, দুর্ঘটনার রাতে মদ খেয়েছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই দাবি পার্টিতে উপস্থিত বেশ কয়েকজনের ৷
অন্যদিকে বিক্রমের দাবি, দুর্ঘটনার রাতে মদ খেয়েছিলেন তিনি। তবে এতটাও খাননি, যাতে বেসামাল অবস্থায় গাড়ি দুর্ঘটনা হতে পারে। দ্বিতীয় দিনের ম্যারাথন জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের।
এই ধরনের অনেক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, সরাসরি খুনের অভিযোগে ৩০২ ধারায় মামলা রুজুরও নজির আছে।