আরও পড়ুনঃ ‘মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করুন’, ৫০০ পাতার রিপোর্টে সুপারিশ এথিক্স কমিটির
এর আগে, চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘এর আগে নিট ফল ছিল জ়িরো। এখন আরও দু’নম্বর কমল। মাইনাস টু। নিট ফল মাইনাস টু।’’ গত ২০ মে সিবিআই যে দিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, সে দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরা করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার সূত্রে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঠিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন অভিষেক। অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমাকে টানা ৪ দিন জেরা করলেও মেরুদণ্ড বিক্রি হবে না। কারণ আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে জানি না। তবে ইডিকে আমি দোষ দিই না। ওঁরা কর্মী মাত্র। নির্দেশ পালন করাই ওঁদের কাজ।’
advertisement
অভিষেক ফেলুদা প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘‘জটায়ু তাঁর বন্ধু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিল, একই জিনিস আমরা এক ভাবে দেখছি , আর আপনি অন্য ভাবে দেখছেন, সেটা কী করে হয়? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনার আর আমার মধ্যে তফাত শুধু দৃষ্টিভঙ্গির। আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন। পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তারপর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে। আগে অপরাধ খুঁজছে না। হয়তো তাই তাঁরা অপরাধের গভীরে পৌঁছতে পারছে না।’’
অভিষেক-এর আগেও অভিযোগ করেছেন, ঠিক ভোটের সময় বা তাঁর কোনও রাজনৈতিক কাজ থাকলে তখনই ডাকা হয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে ওরা আগেও বহুবার প্রশ্ন করেছে। দু’বছর আগেও আমার কাছে এই একই প্রশ্ন এসেছিল। তখন কয়লা এবং গরু কেলেঙ্কারিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখন এই মামলায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সব দুর্নীতির টাকা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে? আসলে আমি যেহেতু সিইও তাই ইডির দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আমার বার্তা নিয়ে যেত।’’