রাজনৈতিকভাবে বর্তমানে দুপক্ষই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ নজিরবিহীন। তবে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়াকে অভিষেকের সৌজন্যবোধকে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক মহল। কার্যত তাঁর স্ত্রীর খোঁজ নিতে উদ্বিগ্ন অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন মুকুল রায়ও।এদিকে অভিষেক হাসপাতলে যেতেই টনক নড়ল বিজেপির। অসুস্থ মুকুল পত্নীর খোঁজ নিতে হাসপাতালে কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের মুখেও সৌজন্যের রাজনীতি। অভিষেক, শুভ্রাংশুকে নিয়ে বিতর্ক এড়ালেন কৌশলী দিলীপ। বললেন, 'ওঁরা পূর্বপরিচিত। বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভাল। আমরাও চাই মুকুলদার স্ত্রী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন'।
advertisement
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর ইঙ্গিতপূর্ন ফেসবুক পোষ্ট। তারপরেই হাসপাতলে অভিষেক- শুভ্রাংশু সরসরি কথা।'পাশে আছি' - তাহলে কি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা অভিষেকের ? সৌজন্যের রাজনীতির আড়ালে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে নানান প্রশ্নও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই। তবে যাই হোক, বঙ্গ রাজনীতির বর্তমান সময় যখন শাসক-বিরোধী একে অপরের বিরুদ্ধে নানান ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ । ঠিক তখনই বিপদের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী শিবিরের পাশে থাকার বার্তা নিঃসন্দেহে যে প্রশংসনীয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।