বিধানসভা নির্বাচনের পালা সাঙ্গ হতেই অভিষেক মন দিয়েছেন ত্রিপুরায় ঘর গোছানোর দিকে। নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে। আজ ঠিক হয়ে গেল তাঁর আরও এক ডেস্টিনেশান। অভিষেক এদিন বলেন, "হাতে সময় কম। কিন্তু গোয়ার মানুষ ফেড আপ হয়ে গেছে। তারা বিরক্ত হয়ে গিয়েছে।"
এর পরে বিধানসভার প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক আরও বলেন, "আমরা লাগাতার বিজেপিকে হারিয়ে এসেছি। আমি শীঘ্রই যাব গোয়াতে। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করি। সোশ্যাল মিডিয়াতে নয় শুধু। বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে আমাদের।" অভিষেকের ঘোষণা, টিএমসি গোয়ায় একা লড়বে
advertisement
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের যুক্তি, অভিষেক অনেক ভেবেচিন্তেই একথা বলছেন। গোয়া থেকে দলের শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি, তালিকায় রয়েছে বহু রাঘববোয়ালদের নাম। তাঁরা গোয়ানিজ সমাজে অত্যন্ত পরিচিত মুখ।
আরও পড়ুন-তৃণমূলে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, একা নয়, এলেন সদলবলে
কাজেই অভিষেক (Abhishek Banerjee on Goa) গোয়া যাবেন ঘুঁটিটা সাজিয়েই, অন্তত ত্রিপুরার মতো তাঁকে শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে না। আর গোয়ার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল পেলে তা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে- সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে জোটের মুকুটে কালক্রমে শ্রেষ্ঠ মুক্ত হয়ে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মত, তৃণমূলের সম্প্রসারণ তত্ত্ব আপাতত এমনই।
সে কাজে নেমে অভিষেক প্রয়োজনে একহাত নিচ্ছেন কংগ্রেসকে। কংগ্রেস যে শত্রু নয় একথা বুঝিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু কংগ্রেস বিপর্যস্ত সে কথা বলতেও পিছপা হচ্ছেন না। আজ অভিষেক বলেন, "কংগ্রেস যদি রাস্তায় না নামে, বাড়িতে বসে থাকে আমরা বসে থাকব না। আমরা বিজেপিকে হারাতে চাই।" খানিকটা আত্মগরিমার সুরে আজও তাঁকে বলতে শোনা যায়, "গত সাত বছরে আমরা বারবার বিজেপিকে হারিয়েছি। আর বিজেপি হারিয়েছে কংগ্রেসকে।"