বুধবার বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের দিনেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ দিন কয়েক আগে নিজেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুমুল কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক৷
আরও পড়ুন: ‘ওরা ভয় পেয়েছে…’, অভিষেককে ED-র জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই ’ইঙ্গিতপূর্ণ’ পোস্ট তৃণমূলের
advertisement
এদিন বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদই ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গে ছিল নথিপত্র৷ ইডি দফতরে ঢোকার সময় কালো গাড়ির ভিতর থেকে হাতজোড় করে সাংবাদিকদের অভিবাদন করতেও দেখা যায় তাঁকে৷
তার প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে বৃষ্টির মাঝে ছাতা মাথায় বেরিয়ে আসেন অভিষেক৷ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘সময় নষ্ট, রাজনৈতিক প্রভুদের ইচ্ছায় অনেক কাজ করতে হয়। আমি ওদের (কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের) দোষ দিই না। আগের দিন শূন্য বলেছিলাম। আজ বলছি -২। আগামিদিনে ডাকলে আরও মাইনাস হবে। আমায় ডাকলে ধূপগুড়ির ফল বদলাবে না। পঞ্চায়েত ফল বদলাবে না। আগামী দিনে জনসমর্থন বাড়বে আমাদের৷ যাঁরা রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারে না .. ধূপগুড়ি নির্বাচন এ হেরে যাওয়ার পর ইডি দিয়ে ডেকে ফল উল্টোবে না ..’’
অভিষেক দাবি করেন, এদিন তদন্তকারীদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি৷ বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, সেগুলো আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলব না৷ আমি কোথাও যাচ্ছি না৷ টানা ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টা, ৯৬ ঘণ্টা জেরা করলেও আমার এতটুকু যায় আসে না৷ বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড দিল্লির নেতাদের কাছে বিক্রি করতে জানি না৷ আবার ডাকলে আবার আসব, সাহায্য করব৷ ’’
তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে কুন্তল ঘোষ টাকা তুলেছিল, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসে। সেই তথ্য যাচাই করার জন্য এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয় বলে সূত্রের খবর। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকুকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই জিজ্ঞাসাবাদে একাধিকবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্সের নাম নিয়েছিলেন জিজ্ঞাসাবাদে। পরে সেই অফিসের দফতরেও হয় তল্লাশি৷