বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলের দুই প্রধান মুখ অর্থাৎ মমতা এবং অভিষেককে নিয়ে বেশ কিছু খবর হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছিল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা তৈরি হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা চলছে। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিউজ ১৮ -কে অভিষেক জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন তাঁর নেত্রী এবং অনুপ্রেরণা।
আরও পড়ুন: বার ডান্সার বান্ধবীকে নিয়ে রাত সফর, বারুইপুরে প্রোমোটারের সঙ্গে হাড়হিম ঘটনা!
advertisement
বাংলার রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকেই এই বিষয়ে নিজের নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু যাঁদের নিয়ে সকলের মনে কৌতূহল ছিল অর্থাৎ মমতা এবং অভিষেক, তাঁরা এই বিষয়ে বেশি কিছু জানাননি। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও কার্যত চুপ ছিলেন। এর মধ্যেই মমতা জরুরি মিটিং করে অবলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন সকল জাতীয় পদের। এমনকী জাতীয় পদের অবলুপ্তি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটিও তুলে দেন। ওই পদেই ছিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের গাড়ির সামনে আহত টোটো চালক! মন্ত্রী যা করলেন, অবাক সকলে
ফলে তাঁর দিকে আরও নজর ঘুরে গিয়েছিল। কিন্তু অভিষেক স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক যুদ্ধ করে আজকের তৃণমূলকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তৃণমূলের আসল কাজ হল মানুষের জন্য লড়াই করা, কাজ করা। সেই পথ দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা সবাই সেই পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে চলেছি। আমাদের চেয়ারপার্সনের দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে যাব এবং মানুষের সেবা করে যাব। আমাদের দলের মূল স্তম্ভই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷’’
যদিও এরপরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর পুরনো পদে ফিরবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। কিন্তু শেষমেশ ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসলেন তিনি।