অভিষেকের অভিযোগ, তাঁর নবজোয়ার যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই নতুন করে বেড়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা৷ এই ৪০ দিনের মধ্যেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে৷ তলব করা হচ্ছে৷ অভিষেক বলেন, ‘‘গত ১২ মাসে সমন এল না। আর যেই যাত্রা শুরু হল, ওমনি সমন। আসলে রাতের ঘুম উড়ে গেছে। এটা আসলে নন্দীগ্রামে ২০ কিমি পদযাত্রা করেছি। এটা তার পুরষ্কার। এদের ধমক চমকে মাথা নিচু করার লোক আমি নেই৷ আগামিদিনে দিল্লিতে পরিবর্তনের চাকা এই রাজ্য থেকেই ঘুরবে৷’’
advertisement
আমাকে আটকাতে হবে৷ সেই কারণে যাত্রা বিঘ্ন করতে চাইছে ওরা। বিজেপির ক্ষমতা নেই আমাকে আটকাবে। ওরা ইডি, সিবিআই নিয়ে রাজনীতি করছে। আমার সাথে লড়াইয়ে পারছেন না, তাই আমার স্ত্রী, সন্তানকে ডাকছেন। আপনারা ইডি, সিবিআই নিয়ে রাজনীতি করছেন, আমি রাজনীতি করছি মানুষ নিয়ে৷ ইডি গ্রেফতার করুক দেখি কত ক্ষমতা আছে৷ আমার স্ত্রী, সন্তান, আমাকে গ্রেফতার করুক। আমি মাথা নত করব না। আমি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি। ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুন। আমি দিল্লির গদ্দারদের কাছে মাথা নিচু করব না।
সোমবার সকালে দুই ন্তানকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় তাঁকে বিমানবন্দরে আটকায় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা৷ এর কিছুক্ষণ পরেই কয়লা কাণ্ডে রুজিযরার কাছে সমন যায় ইডির৷ আগামী বৃহস্পতিবার তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে৷
এদিন রুজিরা প্রসঙ্গ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বলেন, ‘‘রুজিরা জানতেন, ওঁকে আটকানো হবে৷ লুকআউট নোটিস আছে। দেশে আইন কানুন আছে। ২০১৪ সালে পর এত বিদেশ যাওয়া কেন! পয়সা আসে কোথা থেকে!’’
এদিন নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুভেন্দু তোলা অভিযোগেরও একের পর এক উত্তর দেন অভিষেক৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘এসএসসি স্ক্যামে সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হল, শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ চ্যাটার্জির থেকেও বড় বেনিফিশিয়ারি। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে দু’গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে দেখাতে পারবে? আসলে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে৷ যাদের টাকা নিতে দেখা যায়। তাদের ডাকছে না।’’ অভিষেক জানান, লুকআউট নোটিস যদি থাকত, তাহলে তাঁর স্ত্রী তাঁর অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর সঙ্গে বিদেশে গেল কী করে? তাঁর দাবি, নবজোয়ার যাত্রা চলছে বলেই হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে৷
অভিষেকের কথায়, ‘‘আমি ক’বার বাইরে গেছি, তার তথ্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছে৷ এই তথ্য কিভাবে আসে? আমি তো এটা ইডিকে জানিয়েছিলাম। নবজোয়ার চলছে বলে, হেনস্থা করছে৷ আমার সাথে লড়াই করে পারছেন না। তাই আমার স্ত্রী, আমার সন্তানদের টার্গেট করছেন। আগামীদিনে ভবিষ্যৎ ভেবে নিন। আপনাদের আমি উৎখাত করবই। প্রাণ দিয়ে হলেও করব। যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুন৷ আমি আমার মাথা আপনাদের কাছে নত করব না।’’
এমনকী, গোটা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন অভিষেক৷ জানান, ‘‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে যাচ্ছি৷
বিনয় মিশ্রের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কী কথোপকথন হয়েছে তার অডিও আমার কাছে রয়েছে৷ তা সঠিক সময় হাজির করব। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেব৷ তারপর দেখি ওরা কী করে৷’’