দুর্নীতি প্রসঙ্গেও এদিন বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, ''বিশ্বজিৎ কুণ্ডু কালনার প্রাক্তন বিধায়ক, যখন জানতে পারল দল টিকিট দেবে না, চলে গেল বিজেপিতে। নিজে থেকে বলেছে ৩ জনকে পরিবারের চাকরি দিয়েছে। বহাল তবিয়তে আছে, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে বহিষ্কার করে দেখান। মানুষ আমাদের জিতিয়েছে।''
আরও পড়ুন: সারদা কাণ্ডে মদন-কুণালদের কী বলে চাপ? শহিদ মিনারের সভায় বিস্ফোরক দাবি অভিষেকের
advertisement
অভিষেকের সংযোজন, ''সারদা থেকে নারদা, এখন গরু, সবার জন্য আইন এক হলে আমার জন্যেও তাই হবে। আমার নাম যদি কোনো জায়গায় যোগ থাকে শহিদ মিনার মঞ্চে মৃত্যুবরণ করবে। তৃণমূল একমাত্র দল অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়। মিথ্যে মামলা যদি দেয়, এক ডাকে অভিষেক ফোন নম্বরে কল করবেন। একজন তৃণমূল সদস্যের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে কথা বলব না।''
আরও পড়ুন: আইনস্টাইনের মৃত্যুর পরই চুরি যায় ব্রেন, কাটা হয় শতভাগে! কেন, কে করেছিল চুরি? চমকে যাবেন এই খবরে
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গও এদিন তুলে আনেন অভিষেক। বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলায় ভোট প্রচারে এসে দিদি ও দিদি বলে, তখন মহিলা সম্প্রদায়কে অপমান করল, তাঁর পদের কী হবে। সুরাট কোর্টের জাজমেন্ট ও বি সি সম্প্রদায়ের আঘাত হয়েছে বলে যদি রাহুল গান্ধির সদস্য পদ খারিজ হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর হবে না কেন। একমাসের মধ্যে কোর্টে গিয়ে রিপোর্ট দিন।
তৃণমূল কর্মীদের জন্যও এদিন বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বলেন, ''তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের কাছে যাবে মানুষের জন্য কাজ করবে। বুক চিতিয়ে লড়াই করার জন্য বলছি। যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে গলা ফাটিয়েছি ত্রিপুরার অবস্থা কী? কেউ খবর নেয়? বকেয়া টাকা দিলে ৫০ লক্ষ্য পরিবারকে বাড়ি করে দেওয়া যেত। ১ লক্ষ্য কিলোমিটার রাস্তা হত। কৃষক, মৎস্যজীবীদের আর্থিক সহায়তা করতে পারত। বাংলা একমাত্র রাজ্য যাদের ১০০ দিনের টাকা বাকি। কথায় কথায় ইডি সিবিআই। কেউ যদি যুক্ত থেকে ২৪ ঘণ্টায় বহিষ্কার। দিল্লি অচল করে দেখাব। এটা আমার প্রতিজ্ঞা। কোনো প্ররোচনায় পা দেবেন না।''