অভিষেকের কথায়, ‘‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন। আর কেউ নিজেকে কেউকেটা ভাবলে দলও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করবে না। কেউ পার পাবে না।’’ গত ২ জানুয়ারি মালদহের ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুন হন। তাতে মূল চক্রী হিসাবে উঠে আসে মালদহ শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির নাম। পুলিশ নরেন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে বহিষ্কার করে।
advertisement
আরও পড়ুন: সীমান্তে এ কী করে ফেলল বাংলাদেশের বিজিবি! চরম হুঁশিয়ারি বিএসএফ-এর! ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে জবাব ভারতের
দুলাল সরকার খুনের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলের সর্বময় নেত্রীও। মালদহের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলেরই এক নেতা। কখনও দেখাতে পারবেন, উত্তরপ্রদেশে কোনও বিজেপি নেতা অপরাধের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন? আমরা তদন্তের মতো তদন্ত করি। যদি কেউ কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সে যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকুক, যে ধর্ম-বর্ণের হোক, এক জন দোষী দোষীই। অপরাধীর কোনও জাতি বা ধর্ম হয় না। আমরা ব্যবস্থা নেব। অপরাধীদের কেউ পার পাবে না।’’
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ভারতের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় কারা? তালিকায় বাংলার কোন ইউনিভার্সিটি? দেখুন
মঙ্গলবার সেই মালদহেরই কালিয়াচকে আরও একটি রাজনৈতিক গন্ডগোল হয়েছে। খুন হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘পুলিশকে নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যে নির্দেশ দেওয়ার তিনি দিয়েছেন। কিন্তু দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে বলি– একটি রাজনৈতিক দল যখন বড় হয়, তখন সেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটে। বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই? সিপিএম যখন রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, তখন গোষ্ঠীকোন্দল ছিল না? একটা বাড়িতে ছ’জন থাকলে চার জনের ঝগড়া হয়। সেখানে একটি দল যেখানে কয়েক হাজার পদাধিকারী আছেন, সেখানে মতভেদ, মনোমালিন্য থাকতেই পারে। সেটাই স্বাভাবিক।’’ তবে এদিন অভিষেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, যারা এমন আচরণ করছেন, তাদের জন্য আগামীদিনে দলের দরজা বন্ধ হবে পুরোপুরি।