রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ”বালেশ্বরে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।”
পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন রেলের ভূমিকা নিয়েও। ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস লাগাই। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কোনও কৃতিত্ব নেই দেশের বর্তমান সরকারের। রেল যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার । আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তার আগে লেভেল ক্রসিংয়ে ম্যান ছিল না। আমরা ম্যানের ব্যবস্থা করি। আমরা অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস সিস্টেম করার পর থেকে দুর্ঘটনা কমে গিয়েছে। বরেলের জন্য এখন কিছু করা হচ্ছে না। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। মৃতের সংখ্যা আমাদের কাছে বাড়ছে। ওদের কমছে।’ চিকিৎসায় গাফিলতি থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ- সব কিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- কী কারণে করমণ্ডল দুর্ঘটনা? কে দায়ী? জানিয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে ঢোকার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকলে গতিবেগ থাকার কথা ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। একই সঙ্গে বিশেষ রুট সঙ্কেত জ্বলার কথা। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি বলে খবর। রেল সূত্রে খবর, প্রচণ্ড গতিতে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েই দুর্ঘটনার শিকার হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে ২৪ কোচের করমণ্ডলের গতিবেগ শূন্য হয়ে যায়। সংঘর্ষের অভিঘাতে ২১ টি কামরা মুহূর্তের মধ্যে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
আবীর ঘোষাল