দিন কয়েক আগেই তোপ দেগে সংবাদ শিরোনামে আসেন শুভ্রাংশু রায়। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করে আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। শুভ্রাংশুর এই বেসুরো সুর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। অনেকেই বলতে থাকেন, শুভ্রাংশু বোধহয় তৃণমূলের যাওয়ার পথ পরিষ্কার করছেন। এদিন মুকুল-পত্নীকে দেখতে অভিষেকের হাসপাতাল গমন এই বিতর্ককে যে উস্কে দেবে তা বলাই বাহুল্য।
advertisement
আজ দিনভর দুই চব্বিশ পরগণায় ইয়াস বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলিতে ঘুরেছেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখেছেন। আগামীকাল তাঁর গন্তব্য পূর্ব মেদিনীপুর। তাই নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চর্চা কম নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজই ইয়াস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বৈঠকে সেচ দফতর ও বন দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্টও তলব করেন তিনি। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে এই নিয়ে চর্চা ছিলই। তাঁরই মধ্যে অভিষেকের মেদিনীপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত উত্তাপ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। তবে দিনের শেষে অভিষেক সবচেয়ে বেশি আলো শুষে নিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে গিয়ে।
রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত মুকুল-অভিষেক দ্বৈরথ। এক হাত নিতে কেউই কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু কঠিন সময়ে অভিষেক যে ভাবে পাশে মুকুল রায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন, তা বিলুপ্তপ্রায় রাজনৈতিক সৌজন্যই বলা চলে। এই মৌখিক বাক্যালাপ থেকেই জল আরও গড়ায়, শুভ্রাংশু তৃণমূলে আসেন কিনা তা সময় বলবে।
এই খবরটি সবে মাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত আসছে।
-ইনপুট কমলিকা সেনগুপ্ত