নয়াদিল্লি: লোকসভার দলনেতা হিসেবে সংসদে তৃণমূলের পার্টি অফিসে প্রথমবার এসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভার দলনেতার চেয়ার ফাঁকা রেখেই পাশের চেয়ারে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক অবশ্য বলেন, ”কল্যাণ দা সকালেই মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছেন, আজ সুপ্রিম কোর্টে কেস আছে। আমি কল্যাণদা-র সঙ্গে আলাদা করে কথা বলব। আগেও বলেছি।”
advertisement
লোকসভার দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিন দলের সাংসদদের কী বার্তা দিলেন? জবাবে অভিষেক বলেন, ”সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আরও বেশি করে লোকসভার প্রসিডিংসে পার্ট নিতে হবে এবং দলের প্রায়োরিটি বাংলা।” দলের ঐক্যের প্রশ্নে বলেন, ”দলে বর্তমান টিমের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই। মিডিয়া যতই খুঁত খোঁজার চেষ্টা করুক, সবাই এক হয়ে আছে।”
এদিকে, নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশ নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ করছে। সরকারের কাজে বাধাদানেরও অভিযোগ তুললেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তখনই বর্তায়, যখন আদর্শ আচরণবিধি ঘোষণা হয়। তখন নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রশাসন নিজের হাতে নিয়ে চালায়, যাতে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হয়। নির্বাচনের ১০-১১ মাস সময় রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখন যেটা করছে, সেটা তিন চার মাস আগে থেকেই শুরু করেছে।”