যথার্থ ক্যাপ্টেনকেই যেন এদিন পেলেন তাঁর দলের সতীর্থরা। তাতেই তৃপ্তির আলো দেখা গেলো দেবাংশু, জয়া, সুদীপের চোখে মুখে। তৃপ্তি জামিনে মুক্তি পাওয়ার শুধু নয়, তৃপ্তি দলের ক্যাপ্টেনকে (Abhishek Banerjee) বিপদের মুহূর্তে পাশে পাওয়ার। এ যেন এক অন্য অভিষেকের 'অভিষেক' হল রবিবাসরীয় ত্রিপুরায়। এই অভিষেক 'ক্যাপ্টেন অভিষেক'। নিজের কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের নিয়ে ফেরত যখন আসছেন তখন তৃণমূল ত্রিপুরার কর্মীরাও একইরকম উজ্জীবিত।
advertisement
ত্রিপুরায় পা রেখেই রবিবার সারাদিন থানায় ধর্না দিলেন অভিষেক। সকালে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি থানা। একের পর এক প্রশ্ন করেছেন খোয়াই থানার পুলিসকে। যতক্ষণ না তার কর্মীরা ছাড়া পাচ্ছে তিনি বসে থাকবেন থানায়। যেমন বলা তেমনি কাজ। বেরোলেন যখন থানা থেকে তখন জামিনে হয়েছে দেবাংশুদের। থানা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলেন কোর্ট। দেখা করলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে। সকলকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন এক জাতীয় নেতা।
গতকাল দুপুর থেকে বারবার ফোনে খবর নিয়েছেন কর্মীদের। বিকেল বেলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখেই নেতাদের পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। রাতে ফের হামলার খবর আসতেই তৎক্ষণাৎ নিয়ে ফেললেন নিজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। যেন এক মুহূর্ত নষ্ট করতে নারাজ অভিষেক। ২০১৯ থেকে ২০২১ দলকে মজবুত করেছেন। যুব সভাপতি হিসেবে পাশ করেছেন লেটার মার্কস নিয়ে।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরের গত কয়েকমাসে সাংগঠনিক দিক থেকে অভিষেক নিজেকে তুলে ধরেছেন আরও কয়েক ধাপ। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই ইয়াস বিদ্ধস্ত বাংলা থেকে বাজ পরে মৃত্যুর ঘটনায় বার বার ছুটে গিয়েছেন সব জায়গায়। একাধিক ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নেতার পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক। দিয়েছেন জননেতার পরিচয়ও। তবে আজ সারাদিন দলীয় কর্মীদের পাশে থেকে ধরনা দিয়ে যেন হয়ে উঠলেন সেই 'ক্যাপ্টেন' যে কর্মীদের বিপদে ঝাপিয়ে পড়তে এক মুহূর্ত দ্বিধা করেন না। দলনেতা অভিষেককে তাই আজ কুর্নিশ জানাচ্ছে তাঁর দলের ছাত্র, যুব এবং প্রবীণরাও। নেত্রীর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠে যেন সকলকে 'আমি আছি' বার্তা দিলেন এই নতুন অভিষেক।
