দিন কয়েক আগেই তৃণমূল ভবন থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল, সাধারণ মানুষের পঞ্চায়েত গড়া৷ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে স্লোগান৷ জানা গিয়েছে, এই জনসংযোগ যাত্রার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার মানুষের মতামত নেওয়া হবে, তাঁদের কথার উপরে ভিত্তি করেই নিজেদের প্রার্থী নির্বাচন করবে তৃণমূল৷
advertisement
জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৬০ হাজার বুথ, ৩৩৪৩ পঞ্চায়েত পরিক্রমা করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ আর এই গোটা পরিক্রমায় ৩৫০০ কিমি চলবে বিশেষ এক ক্যাম্পেইন বাস৷ যা খানিকটা দিদির দূতের গাড়ির মতোই হবে৷ আর এই ৩৫০০ কিমি পথে আগামী ৬০ দিনে মোট ২৫০ সভাও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিতে, ৩ লক্ষের বেশি কর্মী যুক্ত হবেন। ১৫ হাজারের মতো বিশিষ্টজনও থাকবেন। প্রায় ১ কোটি মানুষের সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করানো হবে। গণ মতামত দেওয়া যাবে www.tnjofficial.com এই ওয়েবসাইটে।
তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতি দিন ৩ থেকে ৫'টি করে সভা হবে। ক্যাম্পে ফিরে নেতৃত্ব ও বিশিষ্টদের সাথে অধিবেশন হবে। অধিবেশনের পরে গোপন ব্যালটে হবে ভোট। গোপন ব্যালটে ভোটের পরে থাকবে নৈশভোজের ব্যবস্থাও। ক্যাম্পেই রাত্রি যাপন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই জনসংযোগ যাত্রায় একাধিক জায়গা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভায় খারাপ ফল যে সব জায়গায় হয়েছিল সেখানে সভা করে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ভাবনাচিন্তা রয়েছে তৃণমূলের তরফে। শোনা যাচ্ছে, সাগরদিঘিতেও যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জন সংযোগ যাত্রা হবে বীরভূমের নানুরেও৷ বীরভূমের তিনটি কেন্দ্রে যাওযার কথা তাঁর৷ শুভেন্দুর জেলায় রামনগর, পটাশপুর, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া পূর্বতে যাবেন অভিষেক৷ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কোচবিহার, মূর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগণা ও বাঁকুড়ায় বেশি সময় দেবেন তিনি।