প্রথমে বারাসত ও পরে তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে এই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। দুই জেলার নেতৃত্বকেই অভিষেক বলেন, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। বেশি বেশি করে মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে তার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে স্থানীয় সাংসদ- বিধায়কদের থাকতে হবে।
advertisement
তাঁর নির্দেশ, সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ও বাঙালিদের উপর যে অত্যাচার চলছে, তার বিরুদ্ধে প্রচার, সভা ও মানুষের দুয়ারে গিয়ে বোঝাতে হবে। বুথে-বুথে ছোট ছোট সভা করতে হবে।
এছাড়া, দুই সাংগঠনিক জেলার টাউন ও ব্লক সভাপতি পরিবর্তন-পরিমার্জন নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়। সকলে মিলে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। বার্তা শীর্ষ নেতৃত্বের। লোকসভার ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিধানসভায় সব দিক থেকে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের প্রচুর দায়িত্ব আছে। নিজের জেলায় নিজের কেন্দ্রে জনসংযোগ বাড়ান।
এই বৈঠকে বারাসত সাংগঠনিক জেলার তরফে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা জেলা সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, খাদ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নারায়ণ গোস্বামী, রহিমা মণ্ডল, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত, যুব তৃণমূলের সভাপতি লিঙ্কন মল্লিক, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মিনু দাস চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: মোদিকে হঠাৎ ফোন! ধন্যবাদ জানালেন পুতিন…ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে এ কোন সমীকরণ?
তমলুক সংগঠনিক জেলার বৈঠকে ছিলেন, জেলা সভাপতি সুজিত রায়, চেয়ারম্যান অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, সৌমেন মহাপাত্র, তিলক চক্রবর্তী, সুকুমার দে, তাপসী মণ্ডল, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দে, মহিলা তৃণমূলের সভাপতি শিবানী দে কুণ্ডু এবং পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান।