এদিন জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, রাজ্যের টাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হচ্ছে। সেই বিষয়ে জোরদার প্রচার করতে বলা হয়েছে। মানস ভুইয়া জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ঠিকভাবে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৫০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটা টাকাও দেয়নি। রাজ্যের টাকাতেই ঘাটার মাস্টার প্ল্যান হবে।
advertisement
মানষ ভূঁইয়া বৈঠক শেষে এদিন বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে ব্লকের সাংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে, সবাই নিজের নিজের মতামত রেখেছেন৷ বাকি সিদ্ধান্ত রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁরা নেবেন। আমরা সব আসনে জিতব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানই সবচেয়ে বড় ইস্যু। কেন্দ্র ২০১৫ সাল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য এক টাকাও দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ৫০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। বৃষ্টির জন্য একটু দেরি হচ্ছে, কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ আমরা করছি আমরাই করব। রাজ্য সরকারের পয়সা দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ডেবরা, পিংলা, কেশপুর ৩ বিধানসভা অঞ্চলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে তিন বিধায়কের মতান্তর হয় অভিষেকের বৈঠকে। শিউলি সাহা, হুমায়ুন কবির ও অজিত মাইতির মধ্যে মতান্তর হয়। এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বর তরফে বলা হয়, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যেই তর্কাতর্কি করেন তাহলে গোটা বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলনেত্রীর কাছে উনি যেটা করবেন সেটাই আপনাদের মেনে নিতে হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন রকম। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আমার পাড়া আমার সমাধান নিয়ে। এই প্রকল্পে সমস্ত বিধায়কদের এবং সবাইকে আরও বেশি করে জনসংযোগ এবং মানুষের মধ্যে উপস্থিতি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে মতান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনও মতান্তর হয়নি। এসব আপনাদের কষ্টকল্পিত ভাবনা। কেশপুরের বিধায়ক, মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে সবাই সবার মতামত রেখেছে। খুব ভাল বৈঠক হয়েছে। ব্লক স্তরের সংগঠনিক রদবদল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মতান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, আলোচনা হয়েছে৷ মতান্তর এটাকে আমি বলবো না। সবাই আমরা নিজের নিজের মতামত রেখেছি। আমরাও আমিও আমার মতামত রেখেছি। সেটা হয়তো অন্য কারো পছন্দ নাও হতে পারে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তিনি তার কথা বলেছেন কারণ তিনিও সার্ভে করছেন। বাকিরা তাদের মত মতামত দিয়েছে। কোন ব্লকে কোন কর্মী কার কি পারফরম্যান্স? কার কেমন ভাবমূর্তি এই সব কিছু নির্ভর করছে ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। এবং সবকিছু দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে দল। তবে এটাকে আমি মতবিরোধ বা মতপার্থক্য বলবো না।