নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “কথা দিচ্ছি, ফলপ্রকাশের পর সবার আগে আপনাদের কাছেই ফিরে আসব। আপনাদের কথা শুনব।” রেকর্ড ভোটে জিতে সেই কথা রাখতে চলেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে দলীয় স্তরে বৈঠক করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূলের ‘দুর্গ’ হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানেই আমতলায় তার কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন অভিষেক।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়েতে পুড়ে সব শেষ! বাংলায় ফিরছে দ্বারিকেশের দেহ! শোকে পাথর স্ত্রী-কন্যা
তৃণমূল সূত্রে খবর, কী ভাবে ভোটের জন্য প্রচার করতে হবে, কর্মীদের সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিষেক। বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি গত ১০ বছরে আমার কেন্দ্রে কী কাজ করেছি, তা আপনারা সকলেই জানেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে সে সব বলুন। তাঁদের বোঝান। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। মমতার সরকার সেই টাকা নিজে থেকে দিচ্ছে। মানুষকে সেটাই জানান। আমরা কী দিতে পেরেছি, মোদি সরকার কী দিতে পারেনি, সেটাই ভোটে তফাত গড়ে দিতে পারবে।’’
এবারে সেই রেকর্ড মার্জিনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে, এই কেন্দ্রগুলিই যে তাঁকে লড়াইয়ে এগিয়ে দেবে, তাতে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। তবে নিশ্চিন্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ ছিলেন তৃণমূল সেনাপতি। তাই তৃণমূল সরকারের কাজ নিয়ে মানুষের কাছে প্রচারে জোর দিয়েছিলেন তিনি।আমতলায় দলীয় স্তরে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। বুথ ধরে ধরে ভোটবৃদ্ধির বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
নেতা-কর্মীদের ‘লক্ষ্য’ নির্দিষ্ট করে দিয়ে অভিষেকের বার্তা ছিল, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে যা কাজ হয়েছে, আর কোনও কেন্দ্রে হয়নি। মানুষকে সে কথা বলতে হবে।’’ ডায়মন্ড হারবারকে আগেই উন্নয়নের ‘মডেল’ হিসাবে তুলে ধরেছেন অভিষেক। সেই কেন্দ্রে লোকসভার সাফল্য নিয়েও তাই তিনি আশাবাদী ছিলেন৷ আর এবার ভোটের ফল বেরনোর পরে, সেই কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাতেই আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পা রাখতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।