পাশাপাশি এখন থেকেই হলদিয়ার পুর ভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক৷ হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিষয়ে কড়া নজরদারি চলবে।প্রয়োজনে পুর ভোটের আগে ফের হলদিয়ায় যাবেন অভিষেক।
অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নজরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। বঙ্গ রাজনীতির মানচিত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু। এবার সেই ‘শুভেন্দু-গড়’ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বৈঠক থেকে সংগঠনকে আরও শক্তপোক্ত করার জন্য জেলার নেতাদের একাধিক বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতুহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে জোড়া জয়ে স্বস্তি তৃণমূলের, বিজেপি-কে পিছনে ফেলে আসানসোলে দ্বিতীয় সিপিএম
জেলার বিধায়ক ফিরোজা বিবি জানিয়েছেন, "কোনও গা জোয়ারি নয়। যদি দু'চারটে পঞ্চায়েত আসন হারতেও হয় তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ধরনের অশান্তি করা যাবে না।" পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাংগঠনিক ভাবে দু'টি ভাগে বিভক্ত৷ একটি তমলুক এবং অন্যটি কাঁথি। এই জেলায় রয়েছে হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের মতো রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে সভা করে এসেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। শিল্পাঞ্চলে ঠিকাদারি নিয়ে অশান্তি যে দল মেনে নেবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই বিষয়েও বারবার খোঁজ নিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে এখন থেকেই লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেকথা মাথায় রেখেই গতকালের বৈঠক থেকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
যেমন, পঞ্চায়েত ভোটে গা জোয়ারি নয় , তাতে ২৫ টা আসন হারলে হারতে হবে। এখন থেকেই পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে। ১৫ দিন অন্তর জেলা সাংগঠনিক কমিটির বৈঠক করতে হবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষজনকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে বলেও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।