আর নয়া রাজ্যপাল সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান কী? তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিউজ ১৮ বাংলাকে জানিয়েছেন, "রাজ্যপাল যখনই কোনও রাজ্যে যান বা নিয়োগ হয়, সাধারণত দেখেছি, তখন আগে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার, অনেক আগে থেকে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে পাঠাত। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমল থেকে এটা প্রায় প্রচলিত। কিন্তু এরা এখন দেখে বাংলাকে কে অপমান করতে পারবে। রাজ্যপালের অফিস তো এখন সাংবিধানিক প্রধানের জায়গা নয়। গত তিন বছরে দলীয় অফিসে পরিণত হয়েছে আমরা দেখেছিলাম। তবে যিনি নতুন রাজ্যপাল আসছেন, তাঁকে আমরা অভিনন্দন জানাই৷ সম্মান, শুভেচ্ছা জানাই৷ আশা করব তিনি সাংবিধানিক রীতিনীতি মেনে, বাংলার স্বার্থে কাজ করবেন। অন্য কারও স্বার্থে কাজ করবেন না তিনি।"
advertisement
আরও পড়ুন : অতিমারিতে বিঘ্নিত রুটিন টিকাকরণ, শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা
অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস অফিসার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে। সেই সময় কলকাতায় চাকরি করতেন কেরলের কোট্টায়ামের বাসিন্দা। সিভি আনন্দ অবশ্য জানিয়েছেন, নেতাজির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কারণেই বোস পদবী ব্যবহার করেন তিনি ও তাঁর পরিবার। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর কি রাজভবন ও নবান্নের সমীকরণ বদলাবে? জবাবে তিনি জানিয়েছেন, সবার নিজের কাজের ধরন আলাদা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নবনির্বাচিত রাজ্যপালের মন্তব্য, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক রেখেই কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন : মিলল অনুমতি, কবে থেকে শুরু জোকা- তারাতলা মেট্রো পরিষেবা? সংশয়ের কারণ একটাই
জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকার সময় রাজভবনের সংঘাত ছিল তুঙ্গে। তিনি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৯৭৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার এবং অবসপ্রাপ্ত আমলা সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার রাজ্যপাল নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই তাঁর দিল্লির বাসভবনে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেসিডেন্ট কমিশনার। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের নয়া সমীকরণ তৈরি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।