জন্মদিনের দিনই ইডির নোটিস পেয়েছিলেন৷ বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কংপ্লেক্সে সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অভিষেকের৷ সেই মতো বেলা ১১টা বেজে ৫ মিনিটে সিজিও-তে পৌঁছন তিনি৷
হাজিরার ১ ঘণ্টার মধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক৷ সেই সময়ই তাঁকে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রমেশ বিদুরী কী করেছিল? এছাড়া, একাধিক বিজেপি সাংসদ কিভাবে অসম্মানিত করে সাংসদকে। মহুয়া একাই যথেষ্ট রাজনৈতিক লড়াইয়ে। দেখছেন না আমাকে কীভাবে একের পর এক মামলায় যোগ করেছে। অবশ্যই এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। মানুষ সব দেখছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ মাসে ৬ বার তলব! জমা দিলেন ছ’হাজার পাতার নথি, ১ ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে এলেন অভিষেক
‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করতে চলেছে সংসদীয় এথিক্স কমিটি৷ CNN-News18-এর কাছে ইতিমধ্যেই এসেছে সেই ৫০০ পাতার রিপোর্ট৷ পাশাপাশি, রিপোর্টে মহুয়া মৈত্রের কাজকে ‘অনৈতিক, খারাপ এবং অপরাধমূলক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এ বিষয়ে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সংসদীয় এথিক্স কমিটি৷ রিপোর্টে এই মামলায় ‘আইনি, নিবিড়, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সময়সীমাবদ্ধ তদন্ত’ করার সুপারিশ করা হয়েছে সংসদীয় এথিক্স কমিটির তরফে৷
কমিটির রিপোর্টে দাবি, মহুয়া মৈত্র তাঁর ইউজার আইডি এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে অন্যকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন৷ ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকেও তিনি অনৈতিক উপায়ে নগদ টাকা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে৷ এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া, উশৃঙ্খল আচরণ এবং ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে লোকসভা এথিক্স কমিটির সদস্য দানিশ আলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির তরফে৷
সূত্রের খবর, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার স্পিকারের কাছে রিপোর্টটি জমা দেওয়া হবে। তারপরে তা আলোচনার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামিকাল বিকেল ৪টে নাগাদ কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার কথা মহুয়া মৈত্রের৷
আরও পড়ুন: এক বছরে সম্পত্তি বেড়ে ১০ কোটি? ‘সারদা’ টেনে শিশিরের বিরুদ্ধে চিঠি ইডি-সিবিআইকে
গত ২ নভেম্বর ‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এথিক্স কমিটির বৈঠকে কমিটির চেয়ারপার্সন তথা বিজেপি নেতা বিনোদ কুমার সোঙ্কার মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করেছেন। লোকসভার স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে ‘সুরক্ষা’ও চান তিনি। প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের এথিক্স কমিটির অধিকাংশই বিজেপি৷
‘ঘুষের বিনিময়ে’ সংসদের অধিবেশনে আদানি গ্রুপ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র৷ সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক৷ ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েই সংসদে আদানি গ্রুপ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া৷ তার পরেই তাঁকে মহুয়া মৈত্রকে ডেকে পাঠায় সংসদীয় এথিক্স কমিটি৷