পাশাপাশি, এদিন জোর গলায় অভিষেক এ-ও দাবি করেন, লিপ্স ন্ড বাউন্সে ‘ওই পদেই’ রয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘সবাই বলছে, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে এসএসসি দুর্নীতি টাকা ঢুকেছে৷ ১০ পয়সা প্রমাণ করুন…একটাই টাকা তিনটে মামলায় জড়িত৷ একটাই ট্রান্সজাকশন, কখনও গরু, কখনও কয়লা, কখনও এসএসসি-তে দেখাতে চাইছে৷’’ পাশাপাশি, তাঁর চ্যালেঞ্জ, তিনি বুধবার ইডি দফতরে যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, তা আগামিকাল বা এর মধ্যে যে কোনও দিন কোনও একটা শুনানিতে পেশ করুক ইডি৷
advertisement
ইডির দফতরের বাইরে দাঁড়িয়েই জোর গলায় তিনি বলেন, ‘‘আমি তো চ্যালেঞ্জ করেছি৷ আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে, আপনি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন, আমি মৃত্যু বরণ করব৷’’
আরও পড়ুন: ‘সময় নষ্ট! জিরো ছিল, মাইনাস ২’, প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক
তাঁর অভিযোগ, যে কোনও নির্বাচন সামনে এলেই ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা বেড়ে যায়৷ এক একটি মামলার তদন্ত বছরের পর বছর চলে অথচ তার কোনও মীমাংসা হয় না৷ ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, ‘‘নারদা কেলেঙ্কারিতে এফআইআরে অভিযুক্ত শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়েছে। সাড়ে ন’বছরে নারদার তদন্ত এগোয়নি। আর এই মামলায় ঠিক ভোটের সময় বা আমার কোনও রাজনৈতিক কাজ থাকলে তখনই ডাকা হয়।’’
অভিষেকের দাবি, ‘‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে ওরা আগেও বহুবার প্রশ্ন করেছে। দু’বছর আগেও আমার কাছে এই একই প্রশ্ন এসেছিল। তখন কয়লা এবং গরু কেলেঙ্কারিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখন এই মামলায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সব দুর্নীতির টাকা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে? একটি সন্তানকে কতজন মা গর্ভে ধারণ করবে? আসলে আমি যেহেতু সিইও তাই ইডির দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আমার বার্তা নিয়ে যেত।’’
এদিন বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদই ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গে ছিল নথিপত্র৷ কালো গাড়ির ভিতর থেকে হাতজোড় করে সাংবাদিকদের অভিবাদন করতেও দেখা যায় তাঁকে৷
তার প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘সময় নষ্ট, রাজনৈতিক প্রভুদের ইচ্ছায় অনেক কাজ করতে হয়। আমি ওদের (কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের) দোষ দিই না। আগের দিন শূন্য বলেছিলাম। আজ বলছি -২। আগামিদিনে ডাকলে আরও মাইনাস হবে। আমায় ডাকলে ধূপগুড়ির ফল বদলাবে না। পঞ্চায়েত ফল বদলাবে না। আগামী দিনে জনসমর্থন বাড়বে আমাদের৷ যাঁরা রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারেনা .. ধূপগুড়ি নির্বাচন এ হেরে যাওয়ার পর ed দিয়ে ডেকে ফল উল্টোবে না ..’’
আরও পড়ুন: ‘ওরা ভয় পেয়েছে…’, অভিষেককে ED-র জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই ’ইঙ্গিতপূর্ণ’ পোস্ট তৃণমূলের
অভিষেক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, আমি কোথাও যাচ্ছি না৷ টানা ৯৬ ঘণ্টা জেরা করলেও আমার এতটুকু যায় আসে না৷ বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড দিল্লির নেতাদের কাছে বিক্রি করতে জানি না৷ আবার ডাকলে আবার আসব, সাহায্য করব৷ ’’