এদিনের পোস্টে অভিষেক লেখেন, ‘নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি বহাল থাকার মধ্যেও এনআইএ-র সঙ্গে সাজশ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বঙ্গ বিজেপি৷ এসব সত্ত্বেও চুপ করে রয়েছে নির্বাচন কমিশন৷’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ অভিযোগ আনেন, নিউটাউনে এনআইএ-এর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়ির ভিসিটর বুকে দেখা গিয়েছে জিকে তিওয়ারির নাম। ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ভিজিটার্স বুকে লেখা রয়েছে জে জিরো সিক্স সিক্স ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সন্ধ্যা সাড়ে ছটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা বাইশ মিনিট পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি।
কুণালের অভিযোগ, ‘‘ধনরাম সিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আস্থাশীল। এই ভদ্রলোকের সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছাকাছি সম্পর্ক আছে। হোম মিনিষ্ট্রি জড়িত। এটা পুরোপুরি বিজেপি ও এনআইএ-এর পরিকল্পিত চক্রান্ত।”
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘‘ধনরাম সিং ও জিতেন তিওয়ারির বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করুক রাজ্য পুলিশ। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি এফআইআর করা হোক এদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন কি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না? পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এটা আমাদের দাবি।”
তৃণমূল মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বলেন, ”ধনরাম সিং ও জিতেন তিওয়ারির বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করুক রাজ্য পুলিশ। এখন নির্বাচনের আচরণ বিধি চালু হয়ে গেছে। তদন্ত করতে এখন সময় বেছে নেওয়া হল! ভোর চারটের সময় বাড়িতে ঢুকে পড়লেন। আর একটা টিম ৫.৪৫ মিনিটে থানায় পাঠালেন! এটা চক্রান্ত। এনআইএ চক্রান্ত করছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিজের ঠিকানা দিয়েছেন ক্যামাক স্ট্রিটের, যেখানে তার মেয়ে থাকেন। ওখানে গিয়ে একঘণ্টা ছিলেন, কী আলোচনা থাকতে পারে! মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে। মহিলারা প্রতিরোধ করবে, প্রতিরোধ করবে। দশজনের প্রতিনিধি দল যাবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”