এছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ভারত সরকার যদি কমিশনের সঙ্গে একমত হয়, তবে, নীতির প্রশ্নে অবিলম্বে লোকসভা ভেঙে দেওয়া উচিত এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার যদি সত্যিই এত ক্ষমতাশালী হয়ে থাকেন, তা হলে শুধু ভোটমুখী রাজ্যগুলির বদলে গোটা দেশে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন করানো উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনে বসেছিল…হঠাৎ লাঠি দিয়ে মারল খোঁচা! কী করল, কেন করল…ধরে ফেলল RPF
বিহারের মতো বাংলাতেও গায়ের জোরে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন৷ ষড়যন্ত্র করে এই পদক্ষেপে প্রচুর বৈধ ভোটারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে এই অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এই প্রসঙ্গেই তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের মনে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে৷ অগণতান্ত্রিক এসআইআর বন্ধ করতে হবে দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি করেছেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই এদিন বাংলায় এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণও৷ সিংভির দাবি, এরা ডিসেম্বরে বাংলায় এসআইআর শুরু করবে৷ বাংলায় আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা ভোট৷ তার আগেই এরা বাংলায় SIR করবে৷ সিংভির প্রশ্ন, ভোটমুখী রাজ্যেই শুধু SIR করা হচ্ছে কেন? আইনজীবী গোপাল শঙ্করনায়ারণ প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া কী করে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন শুরু হতে পারে?