তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘বহিরাগত বাংলা-বিরোধী জমিদারদের আরেকটি শোচনীয় পরাজয়। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট আজ কলকাতা হাইকোর্টের বাংলায় মনরেগা পুনরায় চালু করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এটি বাংলার জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয়, যারা দিল্লির অহংকার এবং অন্যায়ের সামনে মাথা নত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।’’
advertisement
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘যখন তারা রাজনৈতিকভাবে আমাদের পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তখন বিজেপি বঞ্চনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। তারা বাংলার উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল, দরিদ্রদের মজুরি কেড়ে নিয়েছিল এবং মা, মাটি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনগণকে শাস্তি দিয়েছিল। কিন্তু বাংলা হার মানেনি। আমরা প্রতিটি ন্যায্য টাকা, প্রতিটি সৎ কর্মী, প্রতিটি নীরব কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।’’
এটি বিজেপির সুপ্রিম কোর্টে পরাজয় বলে উল্লেখ্য অভিষেকের। তিনি লিখেছেন, ‘‘আজকের রায় তাদের মুখে গণতান্ত্রিক চপেটাঘাত যারা বিশ্বাস করত যে বাংলাকে নির্যাতন করা যেতে পারে, জোর করা যেতে পারে বা নীরব করা যেতে পারে। বিজেপির অহংকার তার হিসাব পূরণ করেছে। তারা জবাবদিহিতা ছাড়াই ক্ষমতা চায়। তারা বাংলা থেকে নেয়, কিন্তু তার প্রাপ্য ফেরত দিতে অস্বীকার করে। কিন্তু এখন, তারা জনগণের ভোটে এবং সুপ্রিম কোর্টে পরাজিত হয়েছে।’’
১০০ দিনের কাজ চালু করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। গত ১ অগাস্ট থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে বলেছিল হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে যায় কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, যা নিয়ে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে ওই টাকা অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এই যুক্তিতেই এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।
