ওল্ড এজ পেনশন প্রাপকদের জন্য ডায়মন্ড হারবারে আয়োজন করা হয়েছে ২০৩ ক্যাম্প। বয়স্কদের পেনশন বা বার্ধক্যভাতা সংক্রান্ত অসুবিধা দূর করতে এই ক্যাম্প। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কয়েক হাজার ওল্ড এজ পেনশন না পাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ১ জানুয়ারির মধ্যে সরকার এই অসুবিধা দূর করবে বলে আশাবাদী তাঁরা। না হলে অর্থনৈতিক সাহায্য করবেন বলে অভিষেক আগেই জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে রক্তারক্তি, মৃত্যুও! ঠিক কী ঘটেছে জানুন…
গত ১০ নভেম্বর ফলতার এক সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রেও ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কর্মীরা বয়স্ক মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এবং রাজ্যে মডেল হয়ে উঠবে জানিয়ে পরোক্ষে বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, “এটাই জন প্রতিনিধির কাজ। নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই জনপ্রতিনিধির কাজ।”
আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্রনাথকেও আপনারা অভিযুক্ত করে দিতেন’, বিদ্যুৎ-মামলায় রাজ্যকে তুলোধনা কোর্টের
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এবারে ৭০ হাজার বয়স্ক মানুষ দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে বার্ধক্য ভাতায় রেজিস্ট্রার করেছেন। কিন্তু, এখনও তাঁরা ভাতা পাচ্ছেন না। তাই এবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তাঁর সীমাবদ্ধ সাহায্য নিয়েই ওই বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে আজ থেকে এই ক্যাম্প চালু করা হল।’
ফলতার জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সরকার বার্ধক্য ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু, যাঁরা নতুন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে একটা পলিসিগত সমস্যা রয়েছে। সেটারও দ্রুত সমাধান হবে। তবে সরকার যবে দেবে দেবে। আমি কথা দিচ্ছি, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের পাশে দাঁড়াব। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের এক থেকে দেড় লক্ষ সক্রিয় কর্মী রয়েছেন। তাঁদের সহায়তা নিয়েই যে ৭০ হাজার বার্ধক্য ভাতায় রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াব। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই আমাদের সীমাবদ্ধ অনুযায়ী প্রতি মাসে তাঁদের আর্থিক সাহায্য করব।” বিরোধীরা অবশ্য এটাকে ডায়মন্ড হারবার মডেল বলে কটাক্ষ করেছেন আগেই।