আরজি কর-পর্বের শুরুতে ধর্ষণের অপরাধীদের জন্য আইন এনে তাদের ‘এনকাউন্টার’ করার কথা বলেছিলেন অভিষেক। ১৪ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পরে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি রাতেই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করে বলেছিলেন, যারা হাসপাতাল ভেঙেছে, গুন্ডামি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দল, মত এবং রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে। তার পরে ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে আরজি কর নিয়ে বক্তৃতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিকে সম্মান জানানোর কথা বলেন। ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগসূত্র রচনার কাজ এই ডায়মন্ড হারবার মডেলের মধ্যে দিয়েই হতে চলেছে।
advertisement
ডায়মন্ড হারবার এলাকায় তৃণমূলের সর্ব স্তরের সংগঠনকে এই কর্মসূচিতে মাঠে নামিয়েছেন অভিষেক। শহর এলাকায় পুরপ্রতিনিধি এবং গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতের নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ব্লক এবং অঞ্চল স্তরের তৃণমূল নেতারাও নামছেন এক মাস ব্যাপী কর্মসূচি সফল করতে। আরজি করের ঘটনার পরে চিকিৎসক সমাজের বড় অংশের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।
সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য কি এ বার নিজেই আসরে নামতে চলেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ—ডক্টরস সামিটের ডিজিটাল প্রচারপত্রটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে এই জল্পনা জোরদার হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, আরজি কর পরবর্তী সময়ে ডাক্তার কমিউনিটির সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক মসৃণ করতেই অভিষেক এই উদ্যোগ নিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, কোভিড কালের মতই, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ চালু করতে চাইছেন অভিষেক। পাশাপাশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদেরও তিনি বার্তা পাঠাতে চাইছেন যে, চিকিৎসক সমাজের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও দূরত্ব বা বিরোধ নেই।