রাজ্যপালের কাছেও কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যাখ্যা করেছেন, সবসময় আর্থিক খরচই উন্নয়নের যথাযথ মাপকাঠি হয় না। দেখতে হবে তা কতটা সঠিকভাবে খরচ হবে। গুণগত মান কি। এসব নিয়েই রাজ্য স্তরের অডিটের প্রয়োজন। একটি রাস্তা তৈরির সময় এক ইঞ্চি পিচ পরতে পারে। আবার তিন ইঞ্চি পিচ পকতে পারে। দুটি ক্ষেত্রে গুণগত মান এক হবে না। অডিটের বিষয়বস্তু আর্থিক মাপকাঠির সঙ্গে গুণগত মাপকাঠিও।
advertisement
রাজভবনের তরফে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কমিশেনর সুপারিশ মতো বরাদ্দ অর্থ পঞ্চেয়তের হাতে তুলে দিলেই হবে না, তিন মাস অন্তর তা কতটা খরচ হল তাও নজরদারি করতে হবে। গুণগত মান বাড়াতে হবে সোশ্যাল অডিটের। এক্ষেত্রে স্বাধীন কোনও সংস্থাকে এই অডিটের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। পঞ্চায়েতের সুশাসনের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘ যে মাপকাঠি ভারত সরকার মেনে নিয়েছে, তা গ্রহণ করা যেতে পারে। কাজের নিরিখে পঞ্চায়েতগুলির রিপোর্ট কার্ড চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কাজের গুণগত মান ও কর্মদক্ষতার নিরিখে বিচার করে সাধারণ মানুষ এই রিপোর্ট কার্ড দেবে। এর ভিত্তিতে পঞ্চায়েতগুলির জন্য ইনসেনটিভ স্কিম দেওয়া যেতে পারে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট নিয়ে এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিস্তারিত আলোচনাও করেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের সঙ্গে। তারপরেই তাঁর এই মনোভাব অভিরূপ সরকারকে জানান রাজ্যপাল বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়