সন্তানের ওপর মায়ের অধিকার, ভালবাসা স্মরণ করানোর জন্য নয়, মায়ের প্রতি সন্তানের যথাযথ সম্মান দেখানোর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই মূলত পালন করা হয় মাতৃদিবস। নতুন প্রজন্মের একটা বড় অংশের মতে, মা দিবস কোনও একটা দিনের বেড়াজালের আটকে থাকতে পারে না। জীবনের মৌলিক স্তরগুলোতে মায়ের চেয়ে বড় শিক্ষাগুরু, মায়ের চেয়ে বড় রক্ষাকর্তা, সন্তানের জন্য আর কেউ হতে পারে না। তাই বছরের প্রত্যেকটা দিন মায়ের জন্য উৎসর্গ করা যায়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দিনে মাতৃ দিবস পালিত হয়।
advertisement
ব্রিটিশ প্রথা অনুযায়ী, ভারতে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় মাদার্স ডে। মাতৃদিবস নিয়ে আপনার মনে যাই সংজ্ঞা থাকুক না কেন, ফোনের ডেটা ব্যবহার করে মায়ের কাছে পাঠাতেই পারেন কিছু সুন্দর ডিজিটাল কার্ড, যেখানে লেখা রয়েছে আপনার মনের কথা। আর আপনি যদি মনে করেন গোটা বছরের মধ্যেই এই বিশেষ দিনে মা'কে সম্মান জানাবেন, বা মায়ের মন খুশি করবেন একটু অন্যভাবে, তাহলে তো কথাই নেই। মাদার্স ডে সেলিব্রেট করতে রইল কিছু মনের মত কেক। গত কয়েকদিন ধরে দিনরাত এক করে শহরের এক কেক কারখানায় চলল কর্মযজ্ঞ। লকডাউনের কথা ভেবে নিজেদের ফেসবুক পেজে শুধুমাত্র মায়েদের জন্য অভিনব উদ্যগ নিয়েছিল তারা বিশ্ব মাতৃ দিবসের কেক প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার আবেদন জমা পড়েছে কেক সংস্থার অফিশিয়াল পেজে।
লকডাউনের জেরে কেক অমিল। কিন্তু মাদার্স ডে-তে সন্তানদের হতাশ করল না কেক সংস্থা। করোনা আতঙ্কের আবহেই মায়ের সাথে এক আনন্দ মুহূর্তের ফটো বসান কেক ফ্রেমবন্দি হয়ে চলে আসবে বাড়িতে। শুধু একটা ছবি আপলোড করতে হবে কেক সংস্থার অফিশিয়াল পেজে । চূড়ান্ত বাছাই পর্বের পর মিলবে বিনামূল্যে কেক পাওয়ার সুযোগ। কলকাতার কেক প্রস্তুতকারী সংস্থা মনজিনিসের কর্ণধার প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, 'প্রত্যেক বছরই বিশেষ দিনগুলিতে কেকের অর্ডারের জন্য লম্বা লাইন দিতে হয়। বেকারি খুললেও পারমিশন নেই কেকের আউটলেট খোলার। এই মুহূর্তে মূলত হোম ডেলিভারির মাধ্যমেই চলছে ব্যবসা। লকডাউনের জেরে অনেক কেক সংস্থাই খুলতে পারেননি তাদের আউটলেট। খোলাবাজারে বিক্রি নেই। কিন্তু বেকারি কারখানা খোলায় কর্মচারীদের তো বেতন দিতে হচ্ছে। তাই আমরা বেকারি পরিষেবা দিচ্ছি অনলাইনে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে। তারই অঙ্গ হিসেবে লকডাউনের সময় মায়েদের মুখে হাসি ফোটাতেই আমাদের এই ব্যতিক্রমী ভাবনা'। তিনি আরও জানান, কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নিজেদের ডেলিভারি বয় মারফত সেই কেক পৌঁছে যাবে শহরের নানা প্রান্তের মায়েদের হাতে। সন্তানদের পাশাপাশি ওঁরাও বলবে 'হ্যাপি মাদার্স ডে'।
VENKATESWAR LAHIRI