আশিতে আসিও না। কিন্তু, অনেককে আসতেই হয়। আশি হয়ত শরীরে ছাপ ফেলে। কিন্তু, কেউ কেউ আশিতেও লড়াইটা ভোলেন না।
আরও পড়ুন: অবশেষে ঘেরাওমুক্ত উপাচার্য, ক্লাস বয়কট-সহ ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের ডাক আন্দোলনকারীদের
এই আশি বছর বয়সেও বকেয়া পেনশনের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন। লড়ছেন আইনি লড়াই। নিয়মিত আসেন কলকাতা হাইকোর্টে। পা আর সেই গতিতে চলে না। কিন্তু, পদক্ষেপ আজও দৃঢ়। শরীর আর দেয় না। কিন্তু, মনের জোর এতটুকু কমেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘সরকারি টাকায় বিলাসিতা নয়, জনগণের টাকার অপচয় বন্ধ করতেই হবে’, খরচে রাশ টানতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী
ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবেন।
১৯৫৯ সালে উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে যোগ দেন।
তখন মাইনে ছিল সাতচল্লিশ টাকা
১৯৯৮ সালে যখন অবসর নেন তখন ৬ হাজার।
পেনশন নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। জল গড়ায় আদালতে। বিপক্ষে তৎকালীন বাম সরকার। কিন্তু, এই বৃদ্ধ ও তাঁর সঙ্গী আরও বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা বার বার আইনি লড়াইয়ে জিতেছেন। তারপরেও নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা। এবার বকেয়া পেনশন নিয়ে। সেই মামলাই চলছে।
আরও পড়ুন: ব্যয় কমাতে সবার আগে কোপ নবান্নের মেনুতে, তালিকা থেকে বাদ লোভনীয় সব পদ
আশিতে পৌঁছলে সংসারে অনেকেরই আদর কমে। আশিতে যেন বোঝা। জিনিসপত্রের আগুন দাম। গ্যাসের দাম নিয়ম করে বাড়ছে। আচ্ছে দিন তা হলে কোথায়? মিলছে না উত্তর। এই বাজারে বকেয়া পেনশনটা পাওয়া গেলে সুরাহা হয়। হয়ত, তখন সংসারে কিছুটা মূল্যও বাড়বে। তাই শরীর না চাইলেও আসতেই হয় আদালতের দরজায়। হোক না বয়স আশি। আশিতেও অনেক আশা থাকে। অনেক লড়াই থাকে। হার না মানা মন থাকে।