মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য আবার পড়াশোনা করছে দুই দিদি। যে পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, তাই আজ বহাল তবিয়তে চলছে মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা কন্যাশ্রী প্রকল্পের কারণে। দুই দিদি আজ পড়ছে কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে সাইকেল চালিয়ে মালদহ থেকে কলকাতার কালীঘাটে এসেছিল ৮ বছরের ছোট্ট সায়ন্তিকা। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিল মালদহের বিখ্যাত আমসত্ত্ব। পাল্টা সায়ন্তিকাকেও রিটার্ন গিফট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সায়ন্তিকা এবার হাজির হয়েছে রেড রোডে ৷
advertisement
আরও পড়ুন- অভিষেকের পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসকেও বিঁধে শুভেন্দু বললেন, ‘আগে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলুন...’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চের পাশেই দেখা গেল তাকে। গত কয়েক মাস আগেই সায়ন্তিকার খবর প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমসত্ত্ব নিয়ে একরত্তি মালদহ থেকে কলকাতা আসছে সাইকেল চালিয়ে, এই খবরেই অনেকে চমকে উঠেছিলেন। বাস্তবে হলও তাই। মালদহ জেলার ইংরেজবাজার পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনা পল্লীর বাড়ি থেকে কলকাতার কালিঘাটের পথে রওনা দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। তবে একা অবশ্যই নয়। সঙ্গে ছিলেন বাবা প্রদীপ দাস ও মা উমা দাস। দুইজনই অবশ্য মেয়ের এহেন কীর্তিতে রীতিমত গর্বিত। প্রসঙ্গত, মালদহে গিয়ে আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জেলার প্রসিদ্ধ আমসত্ত্ব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে সায়ন্তিকা জেদ ধরেছিল। সেই সঙ্গে দুই দিদির পড়াশোনার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিল সায়ন্তিকা।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর আবদারে কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেলেন ভারত অধিনায়ক
এই বিষয়ে সায়ন্তিকার মা উমা দাসের বক্তব্য, ‘‘আমার নিজের পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বাপের বাড়ির অবস্থা ভাল না থাকায় পড়াশোনা বেশি দূর টানতে পারেনি। বিয়েও হয়ে গিয়েছিল তাড়াতাড়ি। আমার স্বামী পেশায় গাড়িচালক। সংসারে অনটন আছে। দুই মেয়ের পড়াশোনাও হয়ত বন্ধ হয়ে যেত মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্প না থাকলে। সায়ন্তিকা ছোটবেলায় সেই সমস্যাটা দেখেছে। ছোট হলেও ও বুঝেছে ব্যাপারটা। ও মমতাদিকে খুব ভালবাসে। ও টিভিতে দেখেছিল মমতাদি মালদহে এসে আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছিলেন। তারপরেই জেদ ধরে ও সাইকেল চালিয়ে মমতাদিকে আমসত্ত্ব খাইয়ে আসবে। আমরা তাতে বাধা দিতে চাই না।’’ সায়ন্তিকা জানিয়েছে, অর্থের অভাবে যেন কারও পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়৷ কন্যাশ্রী থাকায় তাদের পরিবার সুবিধা পেয়েছে, সেই বার্তা আরও একবার সকলের সামনে রাখতে চায় ছোট্ট সায়ন্তিকা।