দেখে নেওয়া যাক কোথায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে-
আসানসোল দুর্গাপুর- ১৪ কোম্পানি
বনগাঁ- ৬৯ কোম্পানি
বারাসত- ৫৯ কোম্পানি
ব্যারাকপুর- ১০৭ কোম্পানি
বসিরহাট- ৪০ কোম্পানি
বিধাননগর কমিশনারেট- ৩ কোম্পানি
দক্ষিণ দিনাজপুর- ৩ কোম্পানি
ইসলামপুর- ৮২ কোম্পানি
কৃষ্ণনগর- ১৬২ কোম্পানি
পূর্ব বর্ধমান- ১৪৩ কম্পানি
রায়গঞ্জ- ৯৬ কোম্পানি
৪৩টি আসন থেকে মোট ৩০৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনগুলিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ১.০৩ কোটি। এদের মধ্যে ৫০.৫৬ জন মহিলা এবং ২৫৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের জন্য ১৪,৪৮০ পোলিং বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দফার হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের স্বপন দেবনাথ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উজ্জল বিশ্বাস, কৌশানি মুখোপাধ্যায়। কৌশানির বিপরীতে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে লড়ছেন মুকুল রায়। এছাড়া হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিজেপির রাহুল সিনহা।
advertisement
কমিশন সূত্রে আরও খবর, এই দফার চার জেলার বেশ কিছু আসনকে স্পর্শকাতর বলে মনে করা হচ্ছে। এই দফাতেই রয়েছে ভাটপাড়া, নৈহাটি, মঙ্গলকোট, ব্যারাকপুর, ভাতারের মতো আসন। আর সেই মতো নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে বলেছে। পঞ্চম দফা ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৎপর হতে হবে। প্রয়োজনে গুলি চালানোর অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু গুলি যাতে হাঁটুর নীচে চালানো হয় সেই ব্যাপারেও স্পষ্ট বলা হয়।
নির্বাচনের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই অভিযোগও করা হয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাইরে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসার বিষয়েও একাধিকবার আপত্তি জানিয়েছেন মমতা। আজ সোমবারও মমতা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রত্যেক জওয়ানের RT-PCR টেস্ট করাতে হবে।
Somraj Bandopadhyay